পূর্ব বর্ধমান: রাজ্য জুড়ে বোমা,বন্দুক ও গুলি উদ্ধার চলছেই। তার মধ্যেই ফের বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে । শনিবার সন্ধ্যায় ৪ টি জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার হয় গলসির পুরষা গ্রামের ধান জমি থেকে। ৪ টি জারিকেন থেকে মোট ৩০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ৩ টি ধাপে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে সিআইডি বোম ডিসপোজ্যাল স্কোয়াডের সদস্যরা।
জানা যাচ্ছে, ধানের জমির মধ্যে পড়ে ছিল বোমাগুলি। মেশিন নিয়ে ধান কাটতে গিয়েছিলেন কৃষকরা। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে বোমাগুলি। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, যদি তাঁদের নজরে না পড়ত, যদি ফসল কাটার জন্য তাঁরা মেশিন চালিয়ে দিতেন, তাহলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত। এতগুলো বোমা বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতে। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে কোথা থেকে ক্ষেতের মধ্যে বোমাগুলি এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আগের গভীর রাতেই বারুইপুরে ফের বোমাবাজি হয়। ভূমি রাজস্ব দফতরের প্রাক্তন অধিকারিক নিকুঞ্জবিহারী দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বারুইপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধপধপি রোডে তাঁর বাড়ি।
প্রাক্তন এই সরকারি আধিকারিকের দাবি, বাইকে করে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। দুটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে বোমাবাজি, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ঠিক তার আগেই দিনই টিটাগড়ে বোমায় গুরুতর আহত হয় এক কিশোর। মাঠে খেলতে গিয়ে বোমা পা লেগে গিয়েছিল কিশোরটির। বোমা ফেটে আহত হয় কিশোরটি। তাকে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ভাঙড় ও নানুর থেকে গত সপ্তাহেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। রাজ্য জুড়ে যেভাবে বোমা অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তাতে বিরোধীরাও সরব। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূল মানুষকে টাকার পাহাড় দেখিয়েছে। এখন বোমার পাহাড় দেখাচ্ছে। এই রাজ্যে ভবিষ্যতে কী হবে, সেটাই আশঙ্কা।”