পূর্ব বর্ধমান: প্রাচীন রীতি মেনে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অনুষ্ঠিত মহানবমীতে পূজিত হল কুমারী পুজো। দূর্গা নবমীর দিনে নয় কুমারীকে দেবী দুর্গার বিভিন্ন নামে পুজো করা হয়। মন্দিরের পুরোহিতদের মতে দেবীকে জীবন্ত রূপে পুজো করার উদ্দেশ্যেই এখানে দীর্ঘদিনধরে নবকুমারী পুজো হয়ে আসছে। সেই পুরোনো রীতি মেনে আজও এখানে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। নয় কুমারীকে উমা, কৃজ্জ্বিকা, সুভগা সহ বিভিন্ন নামে পুজো করা হয়। নবকুমারী পুজোর কারণে পুজোর অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় আজ মন্দির চত্বরে ভিড় ছিল অনেকটাই বেশি।
উল্লেখ্য, বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির বর্ধমানের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিক মতে বর্ধমানের মহারাজা শ্রী কীর্তিচাঁদ, ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি নির্মাণ করান। এই মূর্তিটি হল কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী ‘মহিষমর্দিনী’। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরে, বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজা উদয় চাঁদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন, তাদের হাতে এই প্রাচীন মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন ও তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই ট্রাস্টি বোর্ডই এই মন্দিরের দেখাশোনা করে ।
সকাল থেকে ভিড় সামলাতে ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটি, স্কাউট বিভাগ, জেলাপুলিশ মন্দির চত্বরে উপস্থিত ছিল।