AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan TMC: ‘সুইসাইড ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই’, বর্ধমানে পার্টি অফিসের পাশেই দিনের পর দিন কী চলছিল…

Burdwan Harassment Case: ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হবে। ধৃতরা হল আলি দফাদার, রকি দফাদার ও সোনা দফাদার। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায়। ধৃতরা সকলেই তৃণমূল সক্রিয় কর্মী বলে জানা গিয়েছে।

Burdwan TMC: 'সুইসাইড ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই', বর্ধমানে পার্টি অফিসের পাশেই দিনের পর দিন কী চলছিল...
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2025 | 12:27 PM
Share

বর্ধমান: শাসকদলের কার্যালয় লাগোয়া এক অফিস ঘরে দিনের পর দিন এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলা অভিযোগ সামনে আনার পর তৎপর হয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে মুখ খোলেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের ও দেশের মন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছে এই নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলা। রাজ্যের কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের নয়, খোদ বর্ধমান শহরের এক সম্ভ্রান্ত এলাকার ঘটনা। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে নির্যাতিতা মহিলা কাতর আবেদন করে একটি পোস্ট করেন। তাঁর অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় নেই বলেও দাবি করেছেন।

দু’দিন আগে সামাজিক মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা লেখেন, “আমি আজকে সবার কাছে খারাপ। জানি না আর কতদিন লড়াই করবো ঠাকুর। আমাকে শক্তি দাও।” ভিডিয়োও পোস্ট করেন তিনি। এই ঘটনার পর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। বর্ধমান থানার পুলিশ সক্রিয় হয়।

নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন তাঁকে বারবার ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হবে। ধৃতরা হল আলি দফাদার, রকি দফাদার ও সোনা দফাদার। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায়। ধৃতরা সকলেই তৃণমূল সক্রিয় কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে।

তৃণমূল নেতা দেবু টুডু-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে যান। অপরদিকে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলার মেয়েকে চাই বলে ক্ষমতায় এসে বাংলার সাধারণ মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার । কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো ইজ্জতশ্রী প্রকল্পও আনতে হবে।”