পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার অভীক দে। তিনি আরজি করে কী করছিলেন, এবার সেই প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম থেকে আন্দোলনের মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন অভীক দে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক এদিন প্রশ্ন তোলেন, “অভীক দে সাত সকালে ঘটনাস্থলে লাল গেঞ্জি পরে কীভাবে গেলেন? কেন গেলেন? কী পরিকল্পনা ছিল? আরজি কর থেকে ফিরে উনি ১১ অগস্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে এই মেডিক্যালের ছাত্র ছাত্রী, ট্রেনিদের সঙ্গে মিটিং করে স্বীকারও করেছেন উনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। মৃতদেহ উনি দেখে এসেছেন। এমনকী উনি বিভিন্ন অভিযোগকে লঘু করে দেখানোরও চেষ্টা করেন। তরুণীর দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, অথচ উনি বলেছেন ধর্ষণ হয়নি।”
গৌরাঙ্গ প্রামাণিকের দাবি, অভীক বর্ধমানে মেডিক্যালে এসে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। এমনকী তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের এ ঘটনায় কোনও দায় নেই বলেও দাবি করছেন, অভিযোগ গৌরাঙ্গ প্রামাণিকের। গৌরাঙ্গ প্রামাণিকের বক্তব্য, “সন্দীপ ঘোষের সিন্ডিকেটের পাশে দাঁড়িয়ে এই অপশাসনকে সমর্থন করার জন্য উনি বর্ধমান মেডিক্যালের ছাত্র ছাত্রীদের প্রভাবিতও করেন।”
কিন্তু অভীক দে যদি এতটাই প্রভাবশালী হয়, এতদিন কেন বাকিরা চুপ ছিলেন? টিভিনাইন বাংলাকে গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, “গত কয়েক বছর ধরেই বর্ধমান মেডিক্যালে অপশাসন, ভয়ের বাতাবরণ চলছে। ১১ অগস্ট রাতে অভীক দে বর্ধমান মেডিক্যালের অডিটরিয়ামে প্রকাশ্য বৈঠক করেন। স্বীকার করেন ঘটনার দিন আরজি করে ছিলেন। আমাদের একটাই প্রশ্ন, যার সঙ্গে আরজি করের কোনও সম্পর্কই নেই, অকুস্থলে উনি গেলেন কোন অধিকারে?”