Burdwan: ১৪ মাস বিনা বেতনেই কাজ, শেষমেশ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ ঠিকাকর্মীদের

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 16, 2023 | 8:13 AM

Burdwan: জানা গিয়েছে, এখানে ১৯ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ৫১ জন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। ৭ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন।  আন্দোলনকারীরা জানান, গতবছর দুর্গাপুজোর আগে থেকে ১৩ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না।

Burdwan: ১৪ মাস বিনা বেতনেই কাজ, শেষমেশ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ ঠিকাকর্মীদের
ঠিকাকর্মীদের বিক্ষোভ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: বেতন পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের ঠিকাকর্মীরা। কর্তৃপক্ষের কাছে বারে বারে আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই এবার আন্দোলনে নেমেছেন কর্মীরা। কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। বেতন না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন। আউশগ্রামের রঘুনাথপুর গ্রামের কাছে অবস্থিত রাজ্য মৎস্যবীজ উন্নয়ন নিগমের অধীনে যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামার। এই মৎস্যবীজ খামারে মাছের ডিম থেকে চারাপোনা উৎপাদন করা হয়।

জানা গিয়েছে, এখানে ১৯ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ৫১ জন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। ৭ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন।  আন্দোলনকারীরা জানান, গতবছর দুর্গাপুজোর আগে থেকে ১৩ মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ১৪ মাস বিনা বেতনে কাজ করে আসতে হচ্ছে। নিজেদের খরচে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা দেনায় পড়ে গিয়েছেন।

অভিযোগ, বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েও ফল হয়নি। তাই তাঁরা আন্দোলনের পথে নেমেছেন। যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের কর্মী কল্যাণ পাল, মফিজুল সেখরা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন। কেউ আট বছর ধরে, কারও সাতবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। এখানে কাজ করতে করতে অনেকেরই চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তাঁরা সকলেই সঙ্কটে। আন্দোলনকারীরা প্রোজেক্ট ইনচার্জের অফিসে ও যমুনাদিঘির অতিথিশালায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু দেখান।

যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের প্রোজেক্ট ইনচার্জ অঙ্কুর মজুমদার বলেন,” আমি মাস চারেক দায়িত্বে এসেছি। অনেক আগে থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। ঘটনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। এমনিতেই এই প্রোজেক্টে যে সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশি কর্মী রয়েছেন।”

Next Article