বর্ধমান : শাসক দলের আরও এক নেতাকে নোটিস দিল সিবিআই। বুধবারই তাঁর বাড়িতে ঘুরে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। জিতেন বাগদি নামে পূর্ব বর্ধমানের এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। তবে সিবিআই দফতরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, তাঁর বাড়িতে গিয়েই কথা বলবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভাল্কি পঞ্চায়েত এলাকার নেতা জিতেন বাগদি। বুধবার অর্থাৎ ২৪ অগস্ট জিতেন বাগদির বাড়িতে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তাঁরা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টের সময় তাঁকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। সিবিআই নোটিস পাওয়ার কথা অবশ্য স্বীকার করেননি জিতেন। ফোনে তিনি জানান, তিনি কোনও নোটিস পাননি। উল্লেখ্য, গত ৬ অগস্ট অরূপ মিদ্যাকে সরিয়ে ভাল্কি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয় জিতেন বাগদিকে।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘খবরটা শুনলাম। এই কয়েকদিন আগেই দল অঞ্চল সভাপতি করেছে জিতেনকে। তাই বোঝাই যাচ্ছে কী হচ্ছে।’ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আউশগ্রাম থানার প্রেমগঞ্জ গ্রামে জিতেন বাগদির বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, জিতেন বাড়ি নেই। তাঁর স্ত্রী চিন্তা বাগদি জানান, জিতেন বাড়িতে নাই, কাজে বাইরে গিয়েছে। তাঁদের বাড়িতে কোনও চিঠি আসেনি বলেও জানান চিন্তা।
অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘আমরা তো বারবার আবেদন করেছি যাতে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের গ্রেফতার করে তদন্ত করে সিবিআই। আগামীদিনে বাংলার দুর্নীতিবাজ নেতারা কেউ রেয়াত পাবেন না।’
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আউশগ্রামে শাসক দলের একাধিক নেতাকে তলব করা হয় দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে। সেখানে জেরাও করা হয় তাঁদের, তবে ওই মামলায় এলাকার কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।