বর্ধমান : অনুব্রত মণ্ডলের পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার সিবিআই নোটিস পাঠাল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক তৃণমূল নেতাকে। ওই নেতার নাম আহমেদ শামস তবরিজ ওরফে অরূপ মিদ্যা। তাঁকে সিবিআই অস্থায়ী অফিসে তলব করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ও ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন। সোমবার, ৩০ মে দুর্গাপুরের এনআইটি গেস্ট হাউসে তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট কেপি শর্মার পাঠানো ওই নোটিস ই-মেল মারফত এসে পৌঁছেছে অরূপ মিদ্যার কাছে।
সিবিআইয়ের এই তলব প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অরূপ মিদ্যা বলেন, “নোটিস পেয়েছি। তবে কোন মামলায় আমাকে ডাকা হয়েছে, আমি সঠিক বুঝতে পারছি না। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।” উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর আউশগ্রাম এলাকাতেও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। এই মামলায় তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের অনেক নেতা ও কর্মীদেরই ডেকে পাঠাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আউশগ্রামের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা অরূপ মিদ্যা রাজনীতির আঙিনায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা যায়। আউশগ্রামের ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁর কাছে সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের ফোন আসে। তখন ফোনে নেতার ই-মেল আইডি চাওয়া হয়। তারপর শনিবার বিকেলে ই-মেল মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
কী কারণে তাঁকে সিবিআই গোয়েন্দারা নোটিস পাঠালেন, সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে অরূপ মিদ্যা বলেন, “জানি না। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আমরা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করি, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে দল করি… তাঁদের নামে কুৎসা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে… বিজেপির (কেন্দ্রের) সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মাধ্যমে এগুলি করাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। শুধু শুধু আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমরা কোনও ভয় পাচ্ছি না। তবু আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।” আউশগ্রামের এই তৃণমূল নেতা স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর ‘রাজনৈতিক অভিভাবক’ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।