আউশগ্রাম: রাতের অন্ধকারে ফলের দোকানের চাল ভেঙে ঢুকলো চোরের দল। কিন্তু ফেরার কোনও তাড়া নেই। আরামে বসে রাতভর খেল রকমারি সব ফল। কেউ খেল আপেল, কেউ খেল রসালো আম। ফাঁকা হল তরমুজ থেকে খেঁজুরও। কিন্তু, ফল খেয়ে এবার একটু সুখটান না দিলে কী হয়! পাশেই ছিল একটি মুদির দোকান। ফলমূল খেয়ে এবার সেখানেও ঢুঁ মার চোরের দল। আয়েশ করে বসে চলল সিগারেটে সুখটান। শেষে হাত পড়ল ক্যাশবাক্সে। সেটিও হল ফাঁকা। শেষে সুখটান দিতে দিতেই দোকানে থাকা সব সিগারেট ও বিড়ির প্যাকেট বগলদাবা করে চম্পট দিল চোরেরা। চোরেদের অদ্ভূত কর্মকাণ্ড দেখে তাজ্জব পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বড়া চৌমাথা এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকার লোকজন বলছেন, বিগত মাস ধরেই আউশগ্রামের বড়াচৌমাথায় চুরির ঘটনা বেড়েছে। যে মুদি দোকানে চুরি হয়েছে সেই দোকানের মালিক বলছে এই নিয়ে পাঁচবার তাঁর দোকানে চুরি হয়ে গেল। মাথায় হাত ফল বিক্রিতা বিপ্লব ঘোষেরও। শনিবার সকালে দোকান খুলতেই তিনি দেখেন দোকানের চাল খোলা রয়েছে। ভিতরের জিনিসপত্র সব লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। একই ছবি মুদিখানাতেও। দুই দোকান থেকেই ক্যাশবাক্স ফাঁকা করেছে চোরেরা।
ফলের দোকানের মালিক বিপ্লব ঘোষ বলছেন, “দোকানটা করলাম ১৫ দিন হল। এর মধ্যেই চুরির ঘটনা। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। এলাকায় চুরির ঘটনা খুবই বেড়েছে। চোরেরা তো ফল খেয়েইছে সঙ্গে ক্যাশবাক্সে যা টাকা ছিল তাও নিয়ে গিয়েছে।” অন্যদিকে মুদিখানার মালিক চিরঞ্জিত ঘোষ বলেন, “এলাকায় তো সিভিক ভলান্টিয়াররা থাকে। কিন্তু যেদিন রাতে চুরি হয় সেদিন ওরা থাকে না।”