AWAS Yojana: ‘আবাস’ নিয়ে অভিযোগ? সরাসরি জানান ‘কমপ্লেন বক্সে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 12, 2022 | 8:08 PM

Purba Bardhaman, PMAY-G: জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত প্রায় ৭৩৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার বেশীরভাগটাই যোজনায় অন্তর্ভুক্তকরণের। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগগুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

AWAS Yojana: আবাস নিয়ে অভিযোগ? সরাসরি জানান কমপ্লেন বক্সে
আবাস যোজনার কমপ্লেন বক্স

Follow Us

বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) নিয়ে কোনওরকম অভাব-অভিযোগ থাকলে, তা যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই প্রশাসনের কাছে জানাতে পারেন, সেই বিষয়ে এবার বিশেষ উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দফতরে জানানো সেই কথা। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রতিটি প্রশাসনিক দফতরের সামনে এবার বসানো হল ‘কমপ্লেন বক্স’। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত প্রায় ৭৩৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার বেশীরভাগটাই যোজনায় অন্তর্ভুক্তকরণের। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগগুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় সুবিধাপ্রাপকদের তালিকায় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি সেই তালিকা আবার নতুন করে যাচাই করার কাজ চলছে। প্রথমে, বিডিও ও মহকুমাশাসক স্তরে দুই বার যাচাই হচ্ছে। তারপর ফের তৃতীয় একটি ধাপ হিসেবে হিসাবে এডিএম স্তরে সেই তালিকা যাচাই করা হবে। সবশেষে ফের নতুন তালিকা তৈরি করা হবে। এদিকে রাজ্যে আবাস যোজনার কাজ নিয়ে সাম্প্রতিককালে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপির তরফে এই আবাসের তালিকায় স্বজন পোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে একাধিকবার।

এবার জেলার সব প্রশাসনিক দফতরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর জন্য ‘কমপ্লেন বক্স’ বসানো ঘিরে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির জেলা সহসভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরপর এত অভিযোগ প্রতিদিন জমা পড়বে, প্রশাসনের আধিকারিকরা নাজেহাল হবেন। কারণ, গরিব মানুষজনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় নেই। যাঁরা প্রকৃত দাবীদার তাঁদের নাম শাসক দলের নেতারা বাদ দিয়ে নিজেদের নাম তালিকায় নথিভুক্ত করেছেন। এই দাবি আমরা প্রথম থেকেই করে আসছি। তখন তৃণমূল কান দেয়নি। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে, তাই বক্স করছে প্রশাসনিক দফতরে।”

যদিও বিজেপি নেতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “যখন সার্ভে হয়েছিল, তখন হয়ত সেই ব্যক্তির পাকা বাড়ি ছিল না। এখন ২০২২ সালে আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম আছে। এতে বেনিয়মের কী আছে? প্রশাসন তদন্ত করে দেখে তবেই তো নাম থাকবে। অনেকেই প্রশাসনের কাছে গিয়ে নাম কাটাচ্ছেন।”

Next Article