পূর্ব বর্ধমান: পুজোর মধ্যেই ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষ বর্ধমান শহরের হারাধন পল্লিতে। সিপিআইএমের (CPIM) বুকস্টলেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনায় বর্ধমান থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে, বুকস্টলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
ঠিক কী হয়েছিল? বাম নেতাদের অভিযোগ, প্রতিবছরের মতোই পুজোর সময়ে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বুকস্টল বসে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলাতেই এই বইয়ের মেলার কাজ চলে। প্রত্যেক স্টলেই দলীয় সাহিত্যের পাশাপাশি অন্যান্য় নানান ধরনের বইও পাওয়া যায়। এ বারেও কোভিড বিধি মেনে সেই বুকস্টল বসেছিল। কিন্তু, অভিযোগ মঙ্গলবার রাত দেড়টার কিছু পরে আচমকা ওই বুকস্টলে এসে হামলা চালায় তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী।
সিপিএম কর্মী জয়ন্ত ভট্টের কথায়, “গত তিনবছর ধরে এখানে বুকস্টল দেওয়া হয় পুজোর সময়। গতকাল রাতে আচমকা আমাদের স্টলে এসে ভাঙচুর চালানো হয়। ফ্যান, লাইট ভেঙে, ফেস্টুন ছিড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। এমনকী, আমাদের কয়েকজন সমর্থক খবর পেয়ে বাধা দিতে এলে তাঁদের হমকি দেওয়া হয়।” যদিও, এই অভিযোগ করেছে শাসক শিবির।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত্ দাস বলেন, “কিছু হলেই শাসক শিবিরকে দোষ দেওয়া স্বভাব সিপিএমের। ওদের কি কোনও আর জনভিত্তি রয়েছে যে ওদের স্টলে গিয়ে হামলা চালানো হবে? যে দল গোটা রাজ্যে শূন্য এমনকি উপনির্বাচনেও যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের স্টল আমরা ভাঙতে যাব কেন! আর ওঁরা কেন থানায় গিয়ে অভিযোগ করছেন না! আমি বলতে পারি যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”
প্রসঙ্গত, হুগলির বৈদ্যবাটিতেও মার্কসীয় বুকস্টলে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বাম দলগুলির নির্বাচনী রাজনীতিতে ফলাফল শূন্য হলেও পুজোর সময়েও তাদের ভূমিকা পাল্টায়নি। বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের সামনে বিভিন্ন জায়গায় বামেদের মার্কসীয় ও প্রগতিশীল সাহিত্য বিক্রয় কেন্দ্র এ বারেও দেখা মিলেছে। সোমবার, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু কলকাতার বুকস্টল উদ্বোধন করেন। পুজোর সময় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই বুকস্টল। প্রত্যেকবছরই এই বুকস্টলে বাম সংগঠনগুলির শীর্ষনেতারাও মিলিত হন।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘৬ লক্ষ ত্রিপল কোথায় গেল?’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন দিলীপের
আরও পড়ুন: Madan Mitra: ‘আহা! কী শান্তি..’, মহালয়ায় এভাবেই ‘স্বর্গীয় সুখ’ অনুভব