Farmer Suicide: ঋণের পর ঋণের বোঝা, তার উপর অভিশাপ জাওয়াদ! উদ্বেগ-ভয়ে আত্মহত্যা আলুচাষির
Kalna: স্ত্রী ও মেয়ের গহনা বন্ধক রাখেন তিনি।
কালনা: মেদিনীপুরের পর ফের কৃষক মৃত্যুর খবর। জাওয়াদের কারণে আত্মঘাতী কৃষক। ঋণ শোধের দুশ্চিন্তায় ক্রমশ কেড়েছিল ঘুম। এরপরই আত্মঘাতী হয় সে।
মৃত কৃষকের নাম মানিক শেখ (৪৩)। তিনি কালনা বিরুহা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, পরপর নিম্নচাপের দরুণ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। বেড়ে যায় লোকসান। এই মরসুমে আর্থিক লোকসান কাটিয়ে ঋণ শোধ করতে আরও ঋণ গ্রহণ করেন চাষের জন্য।
জানা গিয়েছে, নিজের ও ভাগের জমি মিলিয়ে প্রায় ১৩ বিঘার বেশি জমিতে ধান ও আলু চাষ করেছিলেন তিনি। এরপর স্ত্রী ও মেয়ের গহনা বন্ধক রেখে বীজ এবং সার কিনতে ঋণ গ্রহণ করেন। সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ঋণ হয় বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু অভিশাপ হয়ে এল জাওয়াদ। এবারও বাঁচাতে পারলেন না আলু ও ধান। নষ্ট হয়ে গেল সমস্ত কিছু। যার কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মানিকবাবু। আজ সকালে বাড়ির কাছের একটি গোয়াল ঘরে তাঁকে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে জানায় চিকিৎকেরা।
এক প্রতিবেশী বলেন, “ওই ব্যক্তি আলু ও ধান চাষ করতেন। দিনের পর দিন চাষের ক্ষতি হচ্ছিল। যার কারণে বুঝে উঠতে পারেননি কী করবেন। এবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করেন। সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়ের গহনা বন্ধক রাখেন। পাশাপাশি মহাজনের কাছ থেকেও ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। প্রচুর টাকার দেনা হয়ে যায়। সেই কারণে অবসাদে আত্মঘাতী হয় সে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে আরও এক আলু চাষির আত্মহত্যার খবর সামনে আসে। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বাসিন্দা ছিলেন ভোলানাথ বায়েন। পরিবারের দাবি, বৃষ্টি নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন তিনি। আলুচাষে ক্ষতির আশঙ্কা থেকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ভোলানাথ বায়েন এক বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছিলেন। প্রায় ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সেই চাষ করেন তিনি। গ্রামবাসীরা জানান, আচমকাই ডিসেম্বরের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টির কারণে চাষের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ভোলানাথ। এই নিয়ে পরিবারেও অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ভোলানাথ আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ৭ তারিখ সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর বাড়িতেই বিষ খান ভোলানাথ বায়েন। দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় ওই আলুচাষির। চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: Mental imbalance: ২২ বছর আগে পারানো হয়েছিল বেড়ির বাঁধন,আজও মুক্তি মেলেনি! কবে ভাঙবে শিকল?