বর্ধমান: ভাল হয়নি পরীক্ষা। রেজাল্ট খারাপের আশঙ্কা। তাতেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাড়িতে থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের লোকেদের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে তৌশিক মণ্ডল (১৭) নামে ওই ছাত্র। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বর্ধমান শহরের গোলাহাট মোড় এলাকায়। তৌশিক বর্ধমান বিদ্যার্থী বয়েজ উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিল। তাঁদের আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নতু এলাকায় হলেও পড়াশোনার সুবিধার্থে মূল শহরে থাকতো বলে জানা যাচ্ছে। সঙ্গে থাকত দিদি।
বুধবার বায়োলজিক্যাল সায়ন্সের পরীক্ষা ছিল তৌশিকের। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ফিরে রীতিমতো মন খারাপ করে থাকতে দেখা গিয়েছিল তৌশিককে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে জানায় পরীক্ষা ভাল নয়নি। যদিও এ কারণে বাড়ির কেউ তাঁকে বকাবকি করেননি। উল্টে সকলে পাশেই থাকেন। কিন্তু, তারপরেও তৌশিকের মন থেকে দূর হয়নি বিষাদের মেঘ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই চরম কাজটা করে ফেলে তৌশিক। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন ফিরে তৌশিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। কান্নার রোল ওঠে বাড়িতে। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশকে। বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে তৌশিকের দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই তা বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। শোকের ছায়া পরিবারে।
মৃতের দাদা মইনুদ্দিন মণ্ডল বলছেন, “ওর বাবা-মা তো কাল এসে ওর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিল। পরীক্ষা যে খারাপ হয়েছে সেটা ও সকলকেই জানিয়েছিল। বাড়ির সবাই ওর পাশেই ছিল। সবাই বলেছিল এবার হয়নি তো কী হবে! পরের বছর হবে। কিন্তু, তাও ওর অবসাদ দূর হয়নি। তারপরেও তো এই কাজ করে ফেলল। খুবই খারাপ লাগছে।”