Former Army Personel on SIR: কার্গিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, প্রাক্তন সেই জওয়ান দাঁড়িয়ে SIR-এর কাগজ হাতে, হেসে বললেন, ‘গাড়ির হ্যান্ডেল যার হাতে সে দিকে ঘোরাবে, ঘুরতে হবে’
SIR Hearing: ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের ইতিহাস জানা সকলের। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা সেই যুদ্ধে দেশের জওয়ানরা নিজেদের প্রাণের পরোয়া না করে কীভাবে লড়াই করেছিলেন সেই ঘটনা প্রত্যেকের জানা। সেই সময় চলা যুদ্ধে সৈনিক ছিলেন সঞ্জীব ভট্টাচার্যও।

বারাসত: কয়েকদিন আগের ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরে বসবাসকারী এক প্রাক্তন সৈনিকের নাম খসড়া তালিকায় না থাকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি ও তাঁর পরিবার। আর এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কারগিল যুদ্ধে শামিল হওয়া,প্রাক্তন সেনা জাওয়ান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও তলব করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের ইতিহাস জানা সকলের। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা সেই যুদ্ধে দেশের জওয়ানরা নিজেদের প্রাণের পরোয়া না করে কীভাবে লড়াই করেছিলেন সেই ঘটনা প্রত্যেকের জানা। সেই সময় চলা যুদ্ধে সৈনিক ছিলেন সঞ্জীব ভট্টাচার্যও। তিনি বারাসত পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার পরিবারের অন্য দুই ভাইও ভারতীয় সেনায় কর্তব্যরত ছিলেন। কাজের সূত্রে বাইরে-বাইরে কাটাতে হয়েছে জীবনের অধিকাংশ সময়।
এখন অবসর নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এসআইআর আবহে বর্তমানে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এক সময় যে জওয়ান কার্গিলের মতো যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, আজ তাঁকেই দাঁড়াতে হচ্ছে কাগজ হাতে। আসতে হচ্ছে শুনানিতে! সঞ্জীববাবু বলেন, “২০০২-এর সময় লে-তে ছিলাম। সেই সময় ভোট কীভাবে দেব? আর সেনা-জওয়ানদের জন্য বিষয়টা তো আলাদা। সেই সময় কখন ভোট হয়েছে আর কী হয়েছে বলব কীভাবে? আমি ২০০৬ অবসর নিয়েছি।” হাসি মুখে বললেন, “আমি সব তথ্য নিয়ে এসেছি শুনানিতে। আর পরিবারের সকলে এসেছেন। আমার স্ত্রীর নাম উঠেছে। এখানে আমি কী বলব? গাড়ির হ্যান্ডেল যার হাতে সে দিকে ঘোরাবে, ঘুরতে হবে আর কী?”
বিষয়টি জানাজানি হতেই আসরে তৃণমূল। ক্ষুব্ধ স্থানীয় পৌরপিতা চম্পক দাস। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। ওদের পুরো পরিবার সৈনিক। পুরো পরিবারের নাম ছিল না।”
