মেমারি: গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষে বাকিদের ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু, দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অতিরিক্ত পড়ানোর জন্য থাকতে বলেন। পরে ছাত্রীকে একা পেয়ে গৃহশিক্ষক তার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে মেমরি থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে মারধর করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত শনিবার ছাত্রীটি টিউশন পড়তে গিয়েছিল। পড়া শেষে ওই গৃহশিক্ষক সবাইকে ছেড়ে বাড়ি যেতে বলেন। ওই ছাত্রীকে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার নাম করে আটকে রাখেন। তারপর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে সব জানায় ছাত্রীটি। তখন পাড়ার লোকজন অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন। গৃহশিক্ষককে মারধর করেন বলে অভিযোগ।
রবিবার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। অন্যদিকে গৃহশিক্ষকও তাঁকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত নেমে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। এবং গৃহশিক্ষককে মারধরের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের এদিন বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ধৃত গৃহশিক্ষককে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, মারধরের ঘটনায় জামিন পান ৩ অভিযুক্ত।