AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School: বাংলার এই স্কুলে শুধু গল্প করে বেতন পান ২ শিক্ষক

School: এটাই বর্তমানে রোজনামচা কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরী জুনিয়র উচ্চ-বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের। ফলে দীর্ঘ কয়েক মাস অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলটি।

School: বাংলার এই স্কুলে শুধু গল্প করে বেতন পান ২ শিক্ষক
গল্প করেই মিলছে বেতন (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 12:59 PM
Share

কেতুগ্রাম: স্কুল শূন্য পড়ুয়া। তবে নিয়ম মেনেই স্কুলে হাজির হন দুই শিক্ষক। হাজিরা খাতায় নিত্যদিন নাম জ্বলজ্বল করছে তাঁদের। শুধু মাত্র আসা আর যাওয়া, আর গল্প গুজব সেরে বাড়ি। ব্যস! এই টুকুই দ্বায়িত্ব দুই শিক্ষকের। কারণ স্কুলে নেই একটিও পড়ুয়া। সেই কারণে প্রয়োজন নেই শিক্ষাদানের। নেই কোনও পরীক্ষা, তাই না হয় খাতা দেখতে না বানাতে হয় প্রশ্ন। নেই মিড ডে মিলের চাপও। এটাই বর্তমানে রোজনামচা কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরী জুনিয়র উচ্চ-বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের। ফলে দীর্ঘ কয়েক মাস অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলটি।

কেন এমন অবস্থা স্কুলের?

২০১৫ সালে কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাটিকুরী গ্রামে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়। রয়েছে ক্লাসরুম। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে দুইজন অতিথি শিক্ষক। অভিভাবকদের অভিযোগ, যেহেতু স্থায়ী কোনও শিক্ষক নেই। সেই কারণে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করান না স্কুলে। ফলে পড়ুয়াদের অভাবে ধুঁকছে স্কুল।

সূত্রের খবর, স্কুলটির অচলাবস্থার কথা একাধিকবার জানানো হয়েছে স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। স্কুল পরিদর্শক কুন্তল দত্ত বিষয়টি জেনে ওই দুই শিক্ষককে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে, কেতুগ্রাম ২ বিডিও অমিত সাউ জানিয়েছেন, এই বছর স্কুলে কেউ ভর্তি হয়নি। অভিভাবকরা ভর্তি করাতে চাইছেন না বলে সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওই স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নেই। সেই কারণে গ্রামবাসীরা চাইছেন না ওই স্কুলে তাঁদের সন্তানকে ভর্তি করতে। আমরা দেখছি কী করা যায়।”

তবে এলাকাবাসী এই স্কুলের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করেছে শিক্ষা দফতরকে। তাঁদের কথায় স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হলে হয়ত পড়ুয়া শূন্য হত না এই স্কুল। এক অভিভাবক বলেন, “খাতায় কলমে একজন না দু’জন আছে। কেউ ভর্তি হতে চায় না। আমরাও আমাদের সন্তানকে ভর্তি করাই না। শুনেছি শিক্ষক স্থায়ী নেই।”