কালনা: মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন কিছুদিন থাকবেন বলে। মেয়ে বাবার আদরের। আদর করেই মেয়ের হাতের শাখা পরিষ্কার করে দিচ্ছিলেন বাবা। ঘরের সামনে চাতালে বসে মেয়ের হাতের শাখা পরিষ্কার করে দিচ্ছিলেন তিনি। পাশেই প্রতিবেশীর বাড়ি। মাঝে একটা পাঁচিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সেই পাঁচিলের অবস্থা বেহাল। মেয়ে হেলান দিতেই হুড়মুড়িয়ে ঘাড়ে ভেঙে পড়ে পাঁচিলের একাংশ। পাঁচিলের ভাঙা অংশের নীচে চাপা পড়ে যান বাবাও। স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে তাঁদের উদ্ধার করেন থেঁতলে গিয়ে মৃত্যু হয় মেয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কালনার (Kalna) নাদনঘাটের শাহাজাদপুর এলাকায়। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিহত গৃহবধূর নাম শুভ্রা ভট্টাচার্য (২৮)। আহত সুবোধ ভট্টাচার্য কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভ্রা গত সপ্তাহেই বাবার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। বেশ কিছুদিন থাকার কথা ছিল তাঁর। পাশের গ্রামেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি। মেয়ের হাতে শাখা ময়লা হয়ে যাওয়ায়, বাবা সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছিলেন। ঘরের ভিতরেই ছিলেন শুভ্রা মা। বাড়ির সামনে রোদে বসেছিলেন বাবা-মেয়ে। কিছুক্ষণ ঝুঁকে থাকার কারণে পেটে টান লাগে শুভ্রার। পাশের বাড়ির পাঁচিলে হেলান দিতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ইটের পাজা। চাপা পড়ে যান শুভ্রা ও তাঁর বাবা। শুভ্রার মাথায় গুরুতর চোট লাগে। মারাত্মক জখম হন তাঁর বাবাও। শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ইটের পাজা সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা শুভ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। যদিও কালনা থানায় এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।