গুসকরা: স্বামী কাজ করেন শিলিগুড়িতে এক বেসরকারি সংস্থায়। গিয়েছিলেন স্বামীর কাছে। এক মাস স্বামীর কাছেই ছিলেন। তারপর আজ বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হল না। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার গৃহবধূর। বছর তেতাল্লিশের ওই গৃহবধূর নাম বিউটি বেগম শেখ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। আর তারপরই অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু গুসকরার বিউটি বেগমের। দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন বিউটির স্বামী হাসমত শেখ।
বাড়ির লোকেরা কেউ জানতেনই না দুর্ঘটনার কথা। এই অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফেরার কথাও ছিল না বিউটির। কথা ছিল হলদিবাড়ি এক্সপ্রেসে চেপে বাড়ি ফেরার। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে যখন পৌঁছান, তখন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পেয়েছিলেন। তাই সেটাতেই চেপে গিয়েছিলেন। ট্রেনে ওঠার আগে স্টেশন থেকে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ‘খুব বৃষ্টি হচ্ছে, এবার ট্রেনে উঠব।’ এরপর বাড়ির কেউ আর সেভাবে টিভি দেখার সময় পাননি। বাড়ির কেউ জানতেনই না কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। যখন তাঁরা প্রথম খবর পান, তখন দুপুর ১২টা বেজে গিয়েছে।
বিউটি বেগমের মেয়ে সুইটি খাতুন খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দুশ্চিন্তায় পড়ে যান শিলিগুড়িতে থাকা হাসমত শেখও। স্ত্রীকে বার বার ফোন করতে থাকেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই ফোন সুইচড অফ। এরপর অনেক পরে হাসপাতালে যান স্ত্রীর ছবি নিয়ে। সেখানেই জানতে পারেন সব শেষ। স্ত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।