Katwa: মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ট্যাবে দিনরাত মজে ছেলে, বাবা-মার বকুনিতে নিল চরম পদক্ষেপ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Dec 27, 2021 | 5:32 PM

Student Commits Suicide: বাবা মোবাইলের সিম খুলে নেওয়ার কথা বললে ফোন ছুঁড়ে ভেঙে দেয় চন্দ্রকান্ত।

Katwa: মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ট্যাবে দিনরাত মজে ছেলে, বাবা-মার বকুনিতে নিল চরম পদক্ষেপ!
আত্মহত্যা পরিবারের (প্রতীকী চিত্র)

Follow Us

কাটোয়া: অনলাইন পড়াশোনায় সুবিধার জন্য রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা গোষণা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই টাকায় ট্যাব কিনে পড়াশোনার চেয়ে মোবাইল গেমে মজে ছিল চন্দ্রকান্ত। তাই নিয়ে বাবা-মায়ের বকুনিতে চরম পদক্ষেপ নিল ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ায়।

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ১০ হাজার টাকায় ফোন কিনে তাই নিয়ে দিন রাত মজে ছিল ছেলে। দিনরাত মোবাইলে করত ফ্রি ফায়ার গেম। পড়াশোনার বালাই নেই, খাওয়া-দাওয়া ভুলে দিনরাত মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকত সে। এ নিয়ে বাবা-মা বকাবকি করায় চরম পদক্ষেপ করল সে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মঘাতী হলো চন্দ্রকান্ত। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ কাটোয়ার মঙ্গলকোটের জাগেশ্বরদিহি গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘর থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবার। পরে কাটোয়া হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানায়। সোমবার পুলিশ মৃতদেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কাটোয়া হাসপাতালে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

মৃত যুবকের নাম চন্দ্রকান্ত দাস বয়স। বছর আঠারোর ছেলেটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। বাবা দিনমজুর। দামি মোবাইল কেনার সামর্থ্য না থাকলেও পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া ১০ হাজার টাকায় ফোন কেনে চন্দ্রকান্ত। কিন্তু গত এক বছর যাবত ফোন কেনার পর থেকেই ফোনে আসক্তি হয়ে পড়ে সে। পড়াশোনা এমনকি খাওয়া-দাওয়া ভুলে দিনরাত মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলত। বিভিন্ন জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। যা নিয়ে প্রায়শই তাকে বকাবকি করতেন বাবা মা। গত রবিবার এই নিয়ে ফের বকাবকি করেন তাঁরা। বাবা মোবাইলের সিম খুলে নেওয়ার কথা বললে ফোন ছুঁড়ে ভেঙে দেয় চন্দ্রকান্ত। এর পরই সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতে বাবা মা না থাকার সুযোগে বাড়ির ঘরে গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল রাজ্যের স্কুলগুলি। বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হলেও গ্রামের অধিকাংশ পড়ুয়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন নেই। তার ফলে অনেক পড়ুয়ারাই সমস্যার মুখে পড়ছেন। সেই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে গত বছরের ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিকে অনলাইন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান করা হবে।

পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পড়ুয়াদের সরাসরি ট্যাব দেওয়া হবে না। বরং সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠানো হবে। তা দিয়ে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করার ট্যাব বা প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনে নিতে পারবে। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। যদিও শিক্ষক মহলের একাংশের অভিযোগ, যে কারণে পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। উলটে অনলাইনে আসক্তি বেড়েছে পড়ুয়াদের।

আরও পড়ুন: Bengal BJP: নিরামিষ অতীত, বঙ্গ বিজেপির যে কোনও অনুষ্ঠানের মেনুতে এবার থাকছে মাছের পদ

Next Article