Khandoghosh Murder: খাটের নীচে সাত বছরের ছেলে, ওপরে বাবাকে চরম অবস্থায় দেখলেন বাড়ির লোক, স্ত্রী-র কথায়, ‘মাথার গণ্ডগোল’

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 16, 2022 | 2:09 PM

Khandoghosh Murder: অতীশ মজুমদার তার ১২ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন । একাধিকবার স্ত্রীকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করলেও স্ত্রী ফেরেননি।

Khandoghosh Murder: খাটের নীচে সাত বছরের ছেলে, ওপরে বাবাকে চরম অবস্থায় দেখলেন বাড়ির লোক, স্ত্রী-র কথায়, মাথার গণ্ডগোল
খণ্ডঘোষে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী ব্যক্তি

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: মানসিক সমস্যা রয়েছে স্বামীর। এই অপবাদ দিয়ে দুই ছেলেমেয়েকে রেখেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছিলেন স্ত্রী। স্ত্রীকে তাঁর বাপেরবাড়ি থেকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত। নিজের ছোটে ছেলেকে নিয়েই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যক্তি। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তি ও তাঁর সাত বছরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যক্তি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম অতীশ মজুমদার (৩৩)। তাঁর স্ত্রী রূপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকেই অতীশ ও তাঁর ছেলে অমরের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। নবগ্ৰাম কলোনীর বাসিন্দা অতীশ। মাস ছয়েক ধরে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি চলছিল অতীশের। তার জেরে স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

অতীশ মজুমদার তার ১২ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন । একাধিকবার স্ত্রীকে বাড়িতে আনার চেষ্টা করলেও স্ত্রী ফেরেননি। পরিবারের দাবি, স্বামীর মানসিক রোগী অপবাদ দিয়ে চলে যান।

বুধবার ফের অতীশের পরিবারের কয়েকজন কুমিরকোলা গ্রামে স্ত্রীর কাছে যান। বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন । কিন্তু একই অপবাদ দিয়ে তাঁদের সকলকে ফিরিয়ে দেন রূপা। তাঁর স্বামীকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করারও পরামর্শ দেন। বাড়ির লোকের কাছে এ কথা শোনার পর আরও বেশি মর্মাহত হয়ে পড়েন তিনি। তারপর ছেলেকে খুন করে নিজে গলায় দড়ি দেন বলে অভিযোগ।

সে সময়ে মেয়ে স্নানে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ঘর বন্ধ দেখে পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে দেখেন, শিশুটি খাটের নীচে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর অতীশের দেহ ঝুলছে‌।

পুলিশ গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Next Article