কালনা: গভীর রাত তখন। দুয়ার এঁটে গোটা পাড়া ঘুমোচ্ছে। রাস্তার কুকুরগুলো তারস্বরে ডেকে চলেছে। মনে হচ্ছে যেন সাক্ষাৎ যমের দেখা পেয়েছে। কুকুরের এমন ডাক শুনে জানলা দিয়ে উঁকি মারেন কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার বাসিন্দা মেনকা পাল। যে দৃশ্য দেখেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কুমির ডাঙা খেলার কথা শুনেছেন বহুবার। তবে সত্যি যে কুমির ডাঙায় ঘুরে বেড়ায়, তাও আবার পাকা রাস্তায় এই প্রথম জানলেন পালপাড়ার বাসিন্দারা। গভীর রাতে দুয়ারে কুমির ঘুম কেড়ে নেয় এলাকাবাসীর। আজ সকাল থেকেও এ দোর ও দোর ঘুরঘুর করছে প্রায় ১০ ফুট লম্বা এই কুমিরটি।
সামনেই ভাগীরথী নদী। নদী সংলগ্ন গ্রাম পালপাড়া। মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই কুমির। রাতেরবেলা গ্রামবাসী ভয়ে উঁকিঝুকি মেরেই ক্ষান্ত থেকেছেন। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিড়। পুলিশ-বনদফতর দড়ি দিয়ে ঘিরে দিয়েছে যাতে কোনও বিপদ না ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা পাল বলেন, “অনেক রাত তখন। কিছুতেই ঘুম আসছে না, অনেকক্ষণ ধরে বিছানায় বসে। বাইরে শুনছি কুকুরগুলো ডেকেই চলেছে। কেমন একটা মনে হল। জানলা খুলে উঁকি দিতেই দেখি হামাগুড়ি দিয়ে কুমিরটা আসছে। আমি তখনও ভাবতে পারিনি কুমির। দরজা খুলে এগিয়েও যাই। এরপর সামনে থেকে দেখে তো চোখ কপালে উঠল।”
পালপাড়ার ইন্দ্রজিৎ পালের কথায়, “রাত ১টা নাগাদ আমরা ঘুমিয়ে। তখন পাশের বাড়ি থেকে চিৎকার করছে, পাড়ায় কুমির এসেছে বলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করি। রাতেই পুলিশ আসে। মনে হয় গঙ্গার জলও বেড়েছে। তাই হয়ত চলে এসেছে। আমরা তো খুবই ভয় পাচ্ছি। কারণ, কুমির ডাঙায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম তো কখনও দেখিনি বা শুনিনি।”
বন দফতরের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, “এখান থেকে গঙ্গা খুবই কাছে। সেখান থেকেই কুমিরটি উঠে পড়েছে মনে হচ্ছে। তবে লোকালয়ে কুমির চলে আসাটা চিন্তার ব্যাপার। মিষ্টি জলের কুমির এটা। তাই মানুষকে কামড়ানো বা তাড়া করা এদের স্বভাব না। তবু কীভাবে লোকালয়ে ঢুকে গেল দেখতে হবে।”
কালনা: গভীর রাত তখন। দুয়ার এঁটে গোটা পাড়া ঘুমোচ্ছে। রাস্তার কুকুরগুলো তারস্বরে ডেকে চলেছে। মনে হচ্ছে যেন সাক্ষাৎ যমের দেখা পেয়েছে। কুকুরের এমন ডাক শুনে জানলা দিয়ে উঁকি মারেন কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার বাসিন্দা মেনকা পাল। যে দৃশ্য দেখেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কুমির ডাঙা খেলার কথা শুনেছেন বহুবার। তবে সত্যি যে কুমির ডাঙায় ঘুরে বেড়ায়, তাও আবার পাকা রাস্তায় এই প্রথম জানলেন পালপাড়ার বাসিন্দারা। গভীর রাতে দুয়ারে কুমির ঘুম কেড়ে নেয় এলাকাবাসীর। আজ সকাল থেকেও এ দোর ও দোর ঘুরঘুর করছে প্রায় ১০ ফুট লম্বা এই কুমিরটি।
সামনেই ভাগীরথী নদী। নদী সংলগ্ন গ্রাম পালপাড়া। মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই কুমির। রাতেরবেলা গ্রামবাসী ভয়ে উঁকিঝুকি মেরেই ক্ষান্ত থেকেছেন। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভিড়। পুলিশ-বনদফতর দড়ি দিয়ে ঘিরে দিয়েছে যাতে কোনও বিপদ না ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা পাল বলেন, “অনেক রাত তখন। কিছুতেই ঘুম আসছে না, অনেকক্ষণ ধরে বিছানায় বসে। বাইরে শুনছি কুকুরগুলো ডেকেই চলেছে। কেমন একটা মনে হল। জানলা খুলে উঁকি দিতেই দেখি হামাগুড়ি দিয়ে কুমিরটা আসছে। আমি তখনও ভাবতে পারিনি কুমির। দরজা খুলে এগিয়েও যাই। এরপর সামনে থেকে দেখে তো চোখ কপালে উঠল।”
পালপাড়ার ইন্দ্রজিৎ পালের কথায়, “রাত ১টা নাগাদ আমরা ঘুমিয়ে। তখন পাশের বাড়ি থেকে চিৎকার করছে, পাড়ায় কুমির এসেছে বলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করি। রাতেই পুলিশ আসে। মনে হয় গঙ্গার জলও বেড়েছে। তাই হয়ত চলে এসেছে। আমরা তো খুবই ভয় পাচ্ছি। কারণ, কুমির ডাঙায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম তো কখনও দেখিনি বা শুনিনি।”
বন দফতরের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, “এখান থেকে গঙ্গা খুবই কাছে। সেখান থেকেই কুমিরটি উঠে পড়েছে মনে হচ্ছে। তবে লোকালয়ে কুমির চলে আসাটা চিন্তার ব্যাপার। মিষ্টি জলের কুমির এটা। তাই মানুষকে কামড়ানো বা তাড়া করা এদের স্বভাব না। তবু কীভাবে লোকালয়ে ঢুকে গেল দেখতে হবে।”