পূর্ব বর্ধমান: শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিয়োকে সামনে রেখে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের হল। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। একজন বিরোধী দলনেতার শব্দচয়ন নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। তাদের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা পদটি একজন মন্ত্রিসভার সদস্যর সমতুল বলেই ধরা হয়। ফলে তাঁর কোনও কথা বলার আগে অনেক বেশি সতর্ক থাকা দরকার। শুভেন্দুর মন্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূলও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছে। যদিও শুভেন্দু তাঁর বক্তব্যে অনড়।
যে ভিডিয়োটি (এ ভিডিয়োর সত্যতা টিভিনাইন বাংলা যাচাই করেনি) নিয়ে এত বিতর্ক সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আমার কোনও ইন্টারেস্ট নেই। কে হরিদাস পাল। একটা …। বলছে স্টোভের উপর কয়লা দিয়ে সকালবেলা চা তৈরি হয়। স্টোভের উপর কয়লা দেওয়া হয় আমি তো দেখিওনি, শুনিওনি।’
সোমবার বিকালে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার। গৌরব জানান, ভারতবর্ষে রাহুল গান্ধী একটা ফ্যাক্টর। তিনি এ রাজ্যে পা রেখেছেন দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই রাহুল গান্ধীকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা হল। শুভেন্দুর এমন কথায় তাঁর এবং বিজেপির আসল চেহারাটাই সামনে চলে এল।
এদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘এটা ভাষা? রাহুল গান্ধীকে কী ভাষায় আক্রমণ করছেন গদ্দার? রাজনীতিতে এই ধরনের অসভ্যতা, অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বিজেপির দালালি করতে গিয়ে আর কত নিচে নামবেন যে এটাও হজম করছেন? শুভেন্দুর কুৎসিত রাজনীতি বেআব্রু হয়ে পড়ছে। এই অসুস্থ ভাষার তীব্র প্রতিবাদ করছি।’ তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদারাও সরব।
এটা ভাষা? রাহুল গান্ধীকে কী ভাষায় আক্রমণ করছেন গদ্দার? রাজনীতিতে এই ধরণের অসভ্যতা, অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বিজেপির দালালি করতে গিয়ে আর কত নিচে নামবেন যে এটাও হজম করছেন?
শুভেন্দুর কুৎসিত রাজনীতি বেআব্রু হয়ে পড়ছে। এই অসুস্থ ভাষার তীব্র প্রতিবাদ করছি। pic.twitter.com/x9s1mFyUMP— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) January 29, 2024
তবে রাহুল গান্ধী নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গ উঠতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি সম্মানীয় জাতীয় নেতা বলে নিজেকে দাবি করেন, নিশ্চয় তাই। তবে আমরা সকালে উঠে চা বানাই কয়লা জ্বালিয়ে। বোকার মত কথা বলেছেন বলেই তো বোকা বলেছি। ভুল তো বলিনি।’ উল্টে শুভেন্দু রাহুলকে পরামর্শ দিয়েছেন, ঠিকঠাক ভাষায় কথা বলার।