পূর্ব বর্ধমান: চারদিনের লড়াই শেষ। মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হল মঙ্গলকোটের নির্যাতিতা মহিলার। গত শনিবার তাঁর হাত, পা, মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলেই জানা যায়। ঘটনায় ওই মহিলার দূর সম্পর্কের দুই আত্মীয়র বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কাটোয়ার মঙ্গলকোটের কুড়ুম্বা গ্রামে গত শনিবার নৃশংস এই অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। সম্পত্তি নিয়ে ৪২ বছর বয়সী ওই মহিলার সঙ্গে প্রায় প্রায়ই ঝামেলা হতো পরিবারের।
নির্যাতিতার এক দাদা অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার দিন তাঁর বোন ঘরে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান সম্পর্কে ভাইপো আশুতোষ গড়াই ও তাঁর ছেলে পূর্ণচন্দ্র গড়াই। তাঁদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চোখে কাপড় বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাদা গিয়ে দেখেন, বোন জ্বলছে। কোনওভাবে রক্ষা করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিনের ড্রাম, পোড়া কাপড়-সহ বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ পায়। যদিও অভিযুক্তরা প্রথম থেকেই দাবি করে তাঁরা আগুন লাগাননি। বরং ওই মহিলা জ্বলছিলেন দেখে এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভান। যদিও ইতিমধ্যেই আশুতোষ গড়াই ও তাঁর ছেলে পূর্ণচন্দ্র গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।