কালনা: পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়ের পর এবার পরিযায়ী-বিমুখ ছাড়িগঙ্গাও। কালনা কোর্ট সংলগ্ন ছাড়িগঙ্গায় কয়েক বছর হল পরিযায়ী পাখিরা আসছে। তবে এবার তাদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। চুপিতেও পরিযায়ী পাখিদের কম আসার অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে কচুরিপানা। ছাড়িগঙ্গাতেও কচুরিপানার বাড়বাড়ন্তের কারণে কমেছে পাখির সংখ্যা। সাধারণ মানুষ শুধু নন, এই প্রতিকূলতার কথা মানছে বনদফতর ও জীব বৈচিত্র্য সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক বছরে এখানে প্রচুর পাখি বাইরে থেকে এসেছে। তবে এবার ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও গত বছরগুলির তুলনায় পাখির সংখ্যা অনেক কম। আসলে যে ছাড়িগঙ্গায় এই পাখিরা এসে বসে, সেখানে এখন কচুরিপানার আধিক্য। জলও কমেছে। বদ্ধ জলাশয়ও একটা কারণ বটে।
বনদফতরের এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী ও বায়োডাইভারসিটির জেলা আধিকারিক অরূপ কুমার মাজি অন্য়ান্য আধিকারিকদের নিয়ে এদিন এলাকা ঘুরে দেখেন। ছিলেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তও। তাঁরা সকলেই মেনে নেন এই ছাড়িগঙ্গার সংস্কার প্রয়োজন। একইসঙ্গে এলাকায় বায়ো ডায়ভারসিটি পার্ক তৈরির কথাও জানান তাঁরা।
এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “পাখির সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমে গিয়েছে। আমরা পাখি সুমারি করেছিলাম গতবার। তখন এই জায়গার ক্ষেত্রে প্রায় ৩ হাজার পাখি ছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৫ হাজার। এ বছর জল কম, কচুরিপানা ভরেছে বেশি। কচুরিপানা দরকার, তবে জলটাও তো দরকার। সেটার সমতা না থাকার কারণে পাখি হয়ত কম।”