Mid Day Meal: ‘ঢাকনাটা সরাতেই ডিম সমেত টিকটিকিটা ঠেলে উঠল’, মিড ডে মিলে আবারও কেলেঙ্কারি

Mid Day Meal: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটির বেহাল দশা। কর্মীরা অসর্তকভাবে রান্নার কাজ করেন বলেই খিচুড়িতে টিকটিকি পড়েছে। সেই খিচুড়িই খাওয়ানোর হয় ছোট শিশুদের। খাওয়ার পর বেশ কয়েকটি শিশু অসুস্থ বোধ করায় গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়েছে।

Mid Day Meal: 'ঢাকনাটা সরাতেই ডিম সমেত টিকটিকিটা ঠেলে উঠল', মিড ডে মিলে আবারও কেলেঙ্কারি
মিড ডে মিলে টিকটিকি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2023 | 5:14 PM

বর্ধমান: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ফের বিপত্তি। এবার খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি। যা খেয়ে অসুস্থ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের ছাতিমপুর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটির বেহাল দশা। কর্মীরা অসর্তকভাবে রান্নার কাজ করেন বলেই খিচুড়িতে টিকটিকি পড়েছে। সেই খিচুড়িই খাওয়ানোর হয় ছোট শিশুদের। খাওয়ার পর বেশ কয়েকটি শিশু অসুস্থ বোধ করায় গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল টিম গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছে। গ্রামবাসীরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের শাস্তির দাবি করেন। এখানে উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে জামালপুর ব্লকের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে সাপ মিলেছিল। ওই খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই নিয়ে প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে। দোষী কর্মীকে শোকজ করা হয় দফতরের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, তবুও কোন হেলদোল নেই কর্মীদের।

দিপালী বেগম নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “আমি কোনওদিনও আমার বাচ্চাকে মিল খাওয়াই না। আমার জা যেই খিচুড়ি কৌটোর ঢাকনাটা সরান, ওমনি টিকটিকিটা ওপর দিয়ে বেরিয়ে আসে। সেন্টার থেকে নিয়ে গিয়েছিল খিচুড়ি। কীভাবে সেখানে খিচুড়িতে টিকটিকিটা পড়ল, সেটা দেখতে হবে।”

শেখ কাজল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “সেন্টারের অবস্থা খুব খারাপ। সেন্টারের দেওয়ালেই ফাটল ধরেছে। রান্নাবান্না তো ভাল হয় না। খিচুড়ি করেছিল আজ, তাতে টিকটিকি পড়েছে। অনেক বাচ্চা সেই খিচুড়ি খেয়ে বমি করছে। এর দায় কে নেবে? আমরা তো সকলেই চিন্তিত।”

খণ্ডঘোষ ব্লক চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার  বরিল শর্মা বলেন, “অভিযোগ এসেছে। আমাকে ফোন করা হয়েছে। দেখলাম, খাবারে এখনও টিকটিকি পড়ে। চারটে বাচ্চা বমি করছে। ওদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।”