AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan: ‘মোবাইল আনতে যাচ্ছি বলে বেরল…’, পুরীর হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে কী ঘটল মিতালির!

ফোনে যোগাযোগ হত বলে দাবি প্রশান্তর। বেশ কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছবি দেখতে পান তিনি। কুমারীশ ও তাঁর স্ত্রী মিতালির সেই ছবি দেখে ফেলেন প্রশান্ত। এরপর মিতালি ছবিটি মোবাইল থেকে মুছে দেন।

Burdwan: 'মোবাইল আনতে যাচ্ছি বলে বেরল...', পুরীর হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে কী ঘটল মিতালির!
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2025 | 7:37 PM
Share

রায়না: পুরীর একটি হোটেল থেকে উদ্ধার বাঁকুড়ার তরুণীর দেহ। শুধু তরুণী নয়, তাঁর প্রেমিকের দেহও পাওয়া গিয়ছে ওই একই ঘর থেকে। বৃহস্পতিবার পুরীর একটি হোটেল থেকে মিতালি নামে ওই তরুণী ও তাঁর প্রেমিক কুমারীশ ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মিতালি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার হরিহরপুর প্রশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর তরুণী মিতালির। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও আছে। অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগে মিতালি বাবার বাড়ি যাচ্ছেন বলে বেপাত্তা হয়ে যান। তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হল দেহ।

বছর দশেক আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার হরিহরপুর গ্রামেই মিতালির বিয়ে হয়। তাঁর স্বামীর মুদিখানা ও তেলের ব্যবসা আছে। দু’বছর আগে মিতালি ঘোষ পাশের গ্রামের মাধবডিহির বাসিন্দা কুমারীশ ঘোষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ স্বামীর। মিতালি স্বামী প্রশান্ত ঘোষ জানান, পড়শিদের কাছে এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন। তাঁর স্ত্রী তাঁকে জানান, কুমারীশ তাঁকে মাঝে মধ্যেই বিরক্ত করে।

এরপর প্রশান্ত তাঁর শ্বশুর বাড়িতে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি কুমারীশের বাড়িতেও বিষয়টি জানান। তখনকার মত ঝামেলা মিটে গেলেও কয়েক মাস আগে তাঁদের মধ্যে ফের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ। ফোনে যোগাযোগ হত বলে দাবি প্রশান্তর। বেশ কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছবি দেখতে পান তিনি। কুমারীশ ও তাঁর স্ত্রী মিতালির সেই ছবি দেখে ফেলেন প্রশান্ত। এরপর মিতালি ছবিটি মোবাইল থেকে মুছে দেন।

প্রশান্ত জানান, ৭ দিন আগে মিতালি ‘মোবাইল আনতে যাচ্ছি’ বলে সোনামুখী যান। তারপর থেকে মোবাইলের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। তাঁকে ফোনে না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করা হলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বলা হয় যে সেখানে মিতালি যাননি।

মৃতার ভাই বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, জামাই প্রশান্ত তাঁদের বাড়িতে জানানোর পরই তাঁরা রায়না থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জানতে পারেন তাঁর বোন পুরীর একটি হোটেলে আছেন। পুলিশকে সেই বিষয়টিও জানানো হয়। তাঁর অভিযোগ পুলিশ তৎপর হলে, তাঁর দিদিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যেত।

বৃহস্পতিবার স্বামী প্রশান্ত ঘোষের মোবাইলে ফোন আসে ওড়িশা পুলিশের তরফ থেকে। তাঁকে বলা হয় স্ত্রী মিতালি ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে পুরীর একটি হোটেলের ঘর থেকে। এরপর দুজনেরই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।