বর্ধমান: অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন থেকেই। এবার সরব খোদ বিধায়ক। বর্ধমানের দিকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিহোমগুলির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেল বিধায়ক খোকন দাসকে। তা নিয়েই এখন চাপানউতোর রাজনৈতিক আঙিনায়।
বুধবার বর্ধমানের গোদা এলাকায় প্রোগ্রসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভা ছিল। সভায় ছিলেন সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম, পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার। এসেছিলেন খোকনও। তাঁর রুদ্রুরূপ দেখে চাপে স্বাস্থ্য কর্তারা। প্রসঙ্গত, বর্ধমান শহরের বুকে কয়েক’শো বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম রয়েছে। দালাল চক্র থেকে রোগী ভর্তিতে বেনিয়ম, এই সমস্ত বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তবে এদিন শুধু বিধায়ক নন, অনিয়ম নিয়ে সুর চড়াতে দেখা যায় বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকারকেও।
সভা থেকেই বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “পরিষেবার নাম করে মানুষকে ঠকানো হলে মেনে নেব না। কেন মানুষ বাইরে যাচ্ছেন তা ভাবতে হবে।” সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের ভাগ্য এখনও মানুষ নবাবহাটে আসেন। তাঁর মুখে শোনা যায় এক হাসপাতালের নামও। বিধায়কের অভিযোগ, একটা হাসপাতাল মানুষকে ঠকায়। বেশি বিল করে। আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি। এভাবে মানুষকে ঠকানো হলে মেনে নেব না।”
এখানেই শেষ নয়, স্বাস্থ্যসাথীতে বেনিয়ম নিয়েও সুর চড়াতে দেখা যায় খোকনকে। যদিও সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম বলছেন, “কোথাও সমস্যা হলে দেখা হবে। নবাবহাট নিয়েও আলোচনা হবে।” তবে স্বাস্থ্যসাথীতে যে সমস্যা আছে তা মানছেন তিনি। যদিও বর্তমানে এখন আর কোনও অভিযোগ নেই বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, “আগে অনেক অভিযোগ থাকলেও এখন আর নেই। আমাদের নজরদারি রয়েছে।”