Cow Smuggling: রাতের অন্ধকারেই চলছিল গরুপাচার, হাতেনাতে পাকড়াও ৯

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 18, 2022 | 4:28 PM

Purba Bardhaman: পুলিশ সূত্রে খবর, গরুগুলিকে বীরভূম থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে কোনওটিকে হাঁটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাত্রিবেলা কেতুগ্রাম থানার টহলরত পুলিশ গরু সমেত ন'জনকেই হাতেনাতে পাকড়াও করে।

Cow Smuggling: রাতের অন্ধকারেই চলছিল গরুপাচার, হাতেনাতে পাকড়াও ৯
গরু পাচারে গ্রেফতার ৯ জন (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

কেতুগ্রাম: গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তারপরও কি বন্ধ হয়েছে গরু কেনা-বেচার হাট? উত্তর না। রাত্রিবেলা রমরমিয়ে চলছে গরু কেনাবেচার হাট। এরপর তল্লাশি চালাতেই পুলিশের হাতে আটক ৫০টি গরু, দুটি গাড়ি ও ন’জন ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গরুগুলিকে বীরভূম থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে কোনওটিকে হাঁটিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাত্রিবেলা কেতুগ্রাম থানার টহলরত পুলিশ গরু সমেত ন’জনকেই হাতেনাতে পাকড়াও করে। ধৃতরা গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কোনও সঠিক উত্তরও দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল পুলিশ। ঠিক কোন পথ দিয়ে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তা জানতে পেরে হানা দেয় সরকারি আধিকারিকরা। তারপরই গ্রেফতার হয় অভিযুক্তরা।

জানা গিয়েছে, ধৃত ন’জনরে আজ কাটোয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক গরুগুলিকে কেতুগ্রাম থানার তবে বিশেষ জায়গায় রাখা হয়েছে। তবে গরুগুলিকে কোথায় এবং কী উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। যদিও, ধৃতদের দাবি তারা কেতুগ্রাম পাচুন্দী হাটে নিয়ে আসছিল।

বস্তুত, বীরভূমের ইলামবাজারে প্রতি শনিবার বসে গরুর হাট।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নামার পর থেকেই এই হাট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে। সূত্রের খবর, সুখবাজারের এই হাটের আড়ালেই চলত গরুপাচারের রমরমা কারবার। এখান থেকে গরু চলে যেত মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে পৌঁছে যেতে বাংলাদেশ সীমান্তে। কিন্তু এই গরুগুলিকে কীভাবে চিহ্নিত করা হত? চোরা কারবারিরা কীভাবে বুঝত, কোন গরুটি পাচারের গরু? কারণ, হাটে তো আরও অনেক গরু বিক্রি হয়। সূত্রের খবর, একটি বিশেষ ধরনের চিরকুট ব্যবহার করত গরু কারবারিরা। সেই চিরকুটে উল্লেখ থাকত, কোন পথে গরু নিয়ে যাওয়া হবে, কার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই সব কিছু। সঙ্গে ব্যবহার করা হত স্ট্যাম্পও। গরুর গায়ে সেই স্টাম্পের ছাপ মারা থাকত। এই চিরকুট এবং স্টাম্প দেখেই চিহ্নিত করা হত পাচারের গরুগুলিকে।

Next Article