Purba Bardhaman: রক্তাক্ত মেঝের উপর শুয়ে বৃদ্ধ, পাশে বসে ছেলে-নাতি, বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না কারোর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 30, 2022 | 9:55 AM

Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিকরের ঘটনা। সেখানেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরাইটিকরের আমতলার বাসিন্দারা প্রতিবেশী শশাঙ্কশেখর দত্তর বাড়িতে অশান্তির খবর পেয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করেন।

Purba Bardhaman: রক্তাক্ত মেঝের উপর শুয়ে বৃদ্ধ, পাশে বসে ছেলে-নাতি, বাকিটা বুঝতে অসুবিধা হল না কারোর
মৃত্যু বৃদ্ধের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: চিৎকারের আওয়াজ আসছিল অনেকক্ষণ আগে থাকেই। প্রতিবেশীরা ঠিক মতো ঠাউর করতে পারছিলেন না। পরে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে উঁকি মারতেই আঁতকে উঠলেন। দেখলেন…

পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিকরের ঘটনা। সেখানেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরাইটিকরের আমতলার বাসিন্দারা প্রতিবেশী শশাঙ্কশেখর দত্তর বাড়িতে অশান্তির খবর পেয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করেন। তারপর জানালা দিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝের মধ্যে বৃদ্ধ পড়ে রয়েছেন। পাশে বসে রয়েছেন তাঁর নাতি ও ছেলে। একাধিকবার ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে বৃদ্ধের নিথর দেহ পড়ে আছে। মেঝেতে খাবারের পাশাপাশি টাকা পয়সাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাবা ও নাতি বসে আছে পাশে। প্রতিবেশীরা তাদের জিজ্ঞেস করলে কেউ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপরই এলাকার বাসিন্দারা বর্ধমান থানায় খরব দেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মাঝে-মাঝেই বাড়িতে অশান্তি হত। নাতি ফাল্গুনী মানসিক রুগী। কয়েক বছর আগে ঠাকুরমাকেও এই ভাবে মারধর করা হয়েছিল। তবে সেই যাত্রায় ঠাকুরমার হাত ভাঙলেও প্রাণে বেঁচে যান। মৃত শশাঙ্কশেখর দত্ত অবসর প্রাপ্ত কোল্ডফিল্ডের আধিকারিক ছিলেন।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি ছেলে ও নাতিকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘চিৎকার শুনে আমরা আসি। তারপর দেখতে পাই জানালা দিয়ে দেখে মাটিতে বয়স্ক মানুষ শুয়ে রয়েছে। এরপর বাইরে থেকে ওরা ডাকতে শুরু করে। ওদের চিৎকার শুনেও ছেলে আর নাতি দরজা খোলেনি। তারপর সবাই মিলে দরজা ভেঙে দেখে। তারপর ওদের বের করে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করা হয়। ওরা বলে আমরা নিজেরাও জানি না। তবে ছেলে-নাতি দু’জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এর আগেও ঠাকুমাকে মেরে হাত ভেঙে দেয়। সেই সময় দাদুর মাথা ফেটে গিয়েছিল। পরে সব মিটমাট করা হয়। কিন্তু এরপর আজ মেরেই ফেলল ওদের।’

Next Article