Migrant Worker: ভিন রাজ্যে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হয়েছিলেন আটক, ১০ মাস পর বাংলায় ফিরছেন বর্ধমানের পলাশ-শুক্লা

Manatosh Podder | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 02, 2023 | 7:54 PM

Migrant Worker: পলাশের পরিবারও এলাকায় দিনমজুরির কাজ করে কোনওমতে সংসারের ঘানি টানত। বাড়তি রোজগারের আশাতেই শেষে দক্ষিণ ভারতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে গিয়েছিলেন পলাশ।

Migrant Worker: ভিন রাজ্যে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হয়েছিলেন আটক, ১০ মাস পর বাংলায় ফিরছেন বর্ধমানের পলাশ-শুক্লা
১০ মাস পর ঘরে ফিরছেন বর্ধমানের পলাশ-শুক্লা

Follow Us

জামালপুর: পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker) হিসাবে কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু, সেখানেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Bangladeshi infiltrator) সন্দেহে বাংলার এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। তারপর থেকে ১০ মাস জেলেই ছিলেন শুক্লা অধিকারী ও পলাশ অধিকারী। তাঁদের সঙ্গে কারাবন্দি অবস্থাতেই দিন কাটছিল তাঁদের শিশু পুত্র আদির। তাঁদের আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের তেলে গ্রামে। ছেলেকে জেল থেকে ছাড়াতে আইনি লড়াই শুরু করেছিলেন পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী। সেই আইনি লড়াই লড়তে গিয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অসুস্থও হয়ে পড়েন। মাস দুয়েক আগে মৃত্যু হয় তাঁর। অবশেষে ১০ মাস পর ছাড়া পেতে চলেছেন পলাশ-শুক্লা। দিন গুনছেন বাড়ি ফেরার। 

তবে বাড়ি ফিরলেও আর দেখা মিলবে না বাবার। ছেলে পলাশের জন্য পথ চেয়ে বসে আছেন তাঁর মা ও বোনেরা। জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামে রয়েছে পলাশদের টিনের চালার দু’কুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। বাড়ির আর্থিক অবস্থা একদমই ভাল নয়। দরিদ্রতা তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গে। তাঁদের গ্রামের অনেকেরই দিন কাটে দিনমজুরের কাজ করে। বাকিদের কেউ বালাপোশ তৈরি, আবার কেউ বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন।

পলাশের পরিবারও এলাকায় দিনমজুরির কাজ করে কোনওমতে সংসারের ঘানি টানত। বাড়তি রোজগারের আশাতেই শেষে দক্ষিণ ভারতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে গিয়েছিলেন পলাশ। তাঁদের সঙ্গেই বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন তাঁর বাবা পঙ্কজ অধিকারী, মা সবিতাদেবী ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারী। সেখানকার মারাথাহাল্লি মহকুমার ভারথুর থানার সুলিবেলে গ্রামের কায়েন খানের কাজে দিনমজুরির কাজ পান। দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরিতে শুরু করেন হোটেল, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য-বস্তু, বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম বাছাইয়ের কাজ। কিন্তু, কে জানত সেখানে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহ তাঁদের আটকে রাখা হবে। 

অবশেষে দাদার বাড়ি ফেরার খবরে খুশি পলাশের দুই বোন সাথী ও শম্পা। তবে বাবার জন্য বিষাদের সুর তাঁদের গলাতেও। তাঁরা বলছেন, ১০ মাস বাদে ওরা বাড়ি ফিরছে ঠিকই কিন্তু ওদের আর বাবার সঙ্গে দেখা হল না। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ মার্চ বাবা পঙ্কজ অধিকারীর নিথর দেহ বেঙ্গালুরু থেকে তেলে গ্রামের বাড়িতে আসে। তবে পলাশের অনুপস্থিতিতে থমকে ছিল পঙ্কজ অধিকারীর পরলৌকিক ক্রিয়া। পলাশ ফিরলেই সেই কাজ হতে চলেছে।

Next Article