পূর্ব বর্ধমান: আবারও ল্যাংচা হাবে অভিযান। আর এবার সাংঘাতিক দৃশ্য উঠে এল। ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। শনিবারের এই ঘটনায় রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব চত্বরে। পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে অভিযানে গিয়ে তিন কুইন্ট্যাল আগে থেকে তৈরি ল্যাংচা বাতিল করল প্রশাসন। এদিনের অভিযানে ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগও দায়ের হয়।
জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তাঁর বক্তব্য রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো। শক্তিগড়ের ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা খেতে বহু দূর থেকে মানুষ যান। অথচ সেই ল্যাংচা গড়ে এ হেন সাংঘাতিক অভিযোগ। দু’দিন আগেই ল্যাংচা হাবে অভিযান চলে। সেই সময়ই সতর্ক করেছিল প্রশাসন।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “গত পরশুর পর আজও আমরা শক্তিগড়ে ল্যাংচার যে হাব, সেখানে গিয়েছিলাম। একটা দু’টো বাদ দিয়ে অধিকাংশ দোকানের অবস্থা খুব খারাপ। খাবার তৈরির ঘর চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। রান্নাঘরে কালিঝুল, কোনওদিন পরিষ্কার হয়নি। আরশোলা, পোকামাকড় রয়েছে। খাবার ঢাকা নয়।” এ তো কিছুই নয়। এরপর স্বাস্থ্য আধিকারিক যা বললেন, তাতে গা গুলিয়ে উঠবে।
তবে এই অভিযান ঘিরে চটে লাল দোকানিরা। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে গ্রামে অভিযান বেআইনি। ল্যাংচা ব্যবসায়ী বাসেদ মণ্ডল বলেন, “রোজ তো ল্যাংচা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। আগের দিন ভেজে রাখতে হয়। পরদিন রসে দিয়ে বিক্রি করি। এই যে বাড়ি বাড়ি গেলেন ওনারা, তার তো কোনও সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল না, পারমিশনও দেখাননি। এটা বাজে ব্যাপার হল। ল্যাংচা সমিতিতে জানানো হবে। আমরা অভিযোগ জানাব।” আরেক ব্যবসায়ী প্রভাত ঝাঁ জানান, ল্যাংচা রেখে বিক্রির প্রশ্নই নেই। ওভেন কম, কর্মীও কম। কম করেই বানান দোকানদাররা। রাত ১১টা ১২টার পর প্রতিটা দোকানেরই মাল শেষ হয়ে যায়।