Bus Service: সপ্তাহের শুরুতেই বাস ধর্মঘট, ৩০টাকার ভাড়ার পথ ৫০০ টাকায় যাচ্ছেন যাত্রীরা

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 08, 2024 | 12:34 PM

Bus Service: চালকদের দাবি, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে নতুন আইন ঘোষণা করেছেন তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও সময়ে এই আইন লাগু হতে পারে। অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার না হলে  তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবেই গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবেন।

Bus Service: সপ্তাহের শুরুতেই বাস ধর্মঘট, ৩০টাকার ভাড়ার পথ ৫০০ টাকায় যাচ্ছেন যাত্রীরা
বাস পরিষেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই বাস ধর্মঘট, যার জেরে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কেন্দ্রে পরিবহন ব্যবস্থার নতুন আইন ‘হিন অ্যান্ড রানের’ প্রতিবাদে এই ধর্মঘট বলে জানাচ্ছেন চালকরা। সকাল থেকে বর্ধমানের সমস্ত রুটের বাস বন্ধ যার জেরে চরম নাজেহাল যাত্রীরা। বর্ধমান শহর লাগোয়া পূর্বাশা ও উত্তরা এই দুটি বাসষ্টান্ডে সকাল থেকে শাড়ি বদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে লোকাল ও দূরপাল্লার বাস। এনিয়ে গত ৩ জানুয়ারি বাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল ‘অল ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।

চালকদের দাবি, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে নতুন আইন ঘোষণা করেছেন তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনও সময়ে এই আইন লাগু হতে পারে। অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার না হলে  তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবেই গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবেন। বাস বন্ধের জেরে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাসযাত্রীদের। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনা রুখতে নতুন পরিবহন নীতি আনছে কেন্দ্র। তাতে ‘হিট অ্যান্ড রানের’ ক্ষেত্রে ১০ বছরের জেল, ৭ লক্ষ টাকার জরিমানা ধার্য করা হবে।  তারই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

সপ্তাহের শুরুতেই এইভাবে পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা। কেউ সরকারি অফিসে যাবেন, আবার কেউ বা যাবেন অন্যত্র। হঠাৎ করে বাস বন্ধ করায় নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। আগাম জানা নেই বাস বন্ধের কথা তাই বাস ধরতে এসে চরম হয়রানির শিকার বাসযাত্রীরা। বাধ্য হয়ে অন্য পরিবহনের উপর ভরসা করতে হচ্ছে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য। গন্তব্যে পৌঁছাতে যেখানে ৩০ টাকা ভাড়া, সেখানে যাওয়ার জন্য টোটো ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। আবার বাস না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই।

এক যাত্রী বলেন, ” কাজে তো আমাদের যেতেই হবে। অফিস, কাজের জায়গা তো এসব শুনবে না। বাধ্য হয়েই বেশির ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।”

Next Article