Purbo Bardhaman Crime: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করায় স্ত্রী ওপর ক্ষোভ, শাশুড়িকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 02, 2022 | 4:01 PM

Purbo Bardhaman Crime: ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওই মহিলা লোকো নেপালি পল্লিতেই থাকেন। এদিনের ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Purbo Bardhaman Crime: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করায় স্ত্রী ওপর ক্ষোভ, শাশুড়িকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে
খুনের অভিযোগ

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: পারিবারিক বিবাদের জেরে শাশুড়িকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্ত্রীকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম জড়ানোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আলুডাঙা এলাকায়। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, তিনি এই ঘটনায় কোনও ভাবেই জড়িত নন। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শেখ ফিরোজ। মৃত বৃদ্ধার নাম আজো রাউত। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মারধরেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শিবশঙ্কর ঘোষের হাত রয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তাঁর ভাগ্নে নিয়ে বাড়িতে আসেন। স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আগে থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। তা নিয়েই বচসা। ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেও শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঝামেলা শুরু করেন তৃণমূল কর্মী।

অভিযোগ, স্ত্রীর ওপর চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকায় শাশুড়ি এসে বাধা দেন। তখনই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রীও। মারধরেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। মূলত পণ নিয়েই অশান্তি। পণের জন্য তাঁকে তাঁর স্বামী মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি আরও বেকায়দা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর স্বামী এলাকার তৃণমূল নেতা শিবশঙ্করের অনুগামী বলে তিনি জানান। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করায় তাঁকে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে অফিসে ডেকেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওই মহিলা লোকো নেপালি পল্লিতেই থাকেন। এদিনের ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। আমার অফিসে বা পার্টি অফিসে কোনও মিটিং হয়নি।” পরিবারের সদস্যরা শেখ ফিরোজের চরম শাস্তি দাবি করেছেন।পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Next Article