পূর্ব বর্ধমান: রাজু ঝাকে খুনের সুপারি নেওয়া কিংপিনের খোঁজে বিহারে রওনা দিয়েছেন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। কয়েকদিন আগে গ্রেফতার হওয়া শার্প শুটার কুন্দনের কাছ থেকে তদন্তকারীরা তার নাম জানতে পারেন। কুন্দন পুলিশকে জেরায় জানিয়েছিল, বিহারের বৈশালি এলাকার বাসিন্দা ‘ডন’ তাকে রাজুকে খুনের বরাত দিয়েছিল। সেও খুন, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
কুন্দনকে তিন লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। এছাড়া অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুন্দনের গ্যাংয়ের খাওয়া দাওয়া, থাকার বন্দোবস্ত এবং গাড়ির দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কুন্দন মূলত সোনার দোকান লুঠে পারদর্শী। এরাজ্যেও বিভিন্ন সোনার দোকানে লুঠের ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এত বড় মাপের অপারেশন সে করেনি। মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দেওয়ায় সে রাজি হয়ে যায়। রাজু ঝা খুনে নতুন ‘ লিড’ তদন্তে অগ্রগতি আনবে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, এই কুন্দনকে রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনায় শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনে অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা শার্প শুটার কুন্দন কুমারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেসময়ে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য এসেছিল, বিহারের বিভিন্ন গ্যাংস্টার এখন জেলে। আর তারা জেলে বসেই নতুন নতুন গ্যাং তৈরি করছে।
গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয়েছিল রাজুকে। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝা। গাড়িতে ছিলেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফ। গাড়ির চারপাশ থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান রাজু ঝা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই খুনের ১৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এক অভিযুক্তকে।