Raju Jha Murder Case: রাজুর সঙ্গে লতিফের সম্পর্ক কী? মুখ খুললেন গুলিতে জখম অন্যতম সাক্ষী ব্রতীন
Raju Jha Murder Case: আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিলেন কিনা, সেই প্রশ্ন করা হয় ব্রতীনকে। তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও আব্দুল লতিফের গাড়ি চালক নুর হোসেন দাবি করেন, দুপুর দেড়টার সময়ে ইলামবাজার থেকে আব্দুল লতিফকে নিয়ে তিনি রওনা দেন দুর্গাপুরের দিকে।
শক্তিগড়: ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে এক অন্যতম সাক্ষী তিনি। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের সবথেকে বড় হাতিয়ার। আব্দুল লতিফের সাদা এসইউভি গাড়িতে রাজু ঝার সঙ্গে ছিলেন ব্রতীন। তিনি রাজুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সাদা গাড়ি লক্ষ্য করে তিন দিক থেকে যখন চলছিল আততায়ীদের গুলিবৃষ্টি, তখন গাড়ির বাইরে ছিলেন ব্রতীন। তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগে। এই খুনের প্রেক্ষাপটে ব্রতীনের বয়ান অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ও তাৎপর্যপূর্ণ। ব্রতীন দাবি করেছেন, গুলির সময়ে গাড়ির বাইরে ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “গুলি যখন চলেছে, তখন বাইরে ছিলাম। রাজু ছাড়া কাউকেই চিনি না। লতিফকে চিনি না। তবে রাজুর সঙ্গে ওর দাদাভাইয়ের সম্পর্ক।” কিন্তু ব্রতীনের বয়ান নিয়েও উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। যদি ব্রতীন গুলিচালনার সময়ে গাড়ির বাইরে থাকেন, তাহলে তাঁর বাঁ হাতে গুলি লাগল কীভাবে? তাঁর বয়ান ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। ব্রতীনকে মঙ্গলবার নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের পুলিশ সুপার অফিসে।
আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন করা হয় ব্রতীনকে। তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও আব্দুল লতিফের গাড়ি চালক নুর হোসেন দাবি করেন, দুপুর দেড়টার সময়ে ইলামবাজার থেকে আব্দুল লতিফকে নিয়ে তিনি রওনা দেন দুর্গাপুরের দিকে। দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি মোড়ে ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে গাড়িতে তোলেন। ব্রতীনকে নিয়ে তাঁরা পৌঁছন রাজু ঝার ফরচুন হোটেলে। সেখানে ব্রতীন ও আব্দুল লতিফ নেমে যান। ব্রতীন মুখোপাধ্যায় নুরকে বলেছিলেন, একটা গুটখা আনতে। তার মাঝেই চলে হামলা।
ব্রতীনের ভূমিকাও এখন তদন্তকারীদের নজরে। যদিও উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যার পর দেড় দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিল, এই দাবি ঘটনার অন্যতম সাক্ষী গাড়িচালক নুর তাঁর বয়ানে লিখেছেন। যদিও পুলিশ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল, গাড়িতে তিন জন ছিলেন। সেক্ষেত্রে যেন আব্দুল লতিফের উপস্থিতিই কি স্বীকার করতে চাইছে না পুলিশ? কোথাও কি এখানে লতিফ লিঙ্ককে উহ্য করার প্রয়াস চলছে? প্রশ্ন থাকছেই।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিটের সদস্যরা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবদ করছেন। তাঁকে জেলা পুলিশ সুপার অফিসে আনা হয়েছে। সেখানে প্রথমে সিটের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তারপর পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। গোটা পুলিশ সুপার অফিসকে কার্যত জতুগৃহ বানানো হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেন পুলিশকর্মীরা। মেইন গেটে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার অফিসে নিয়ে আসা হিয়েছে লতিফের গাড়ির চালক নুরকেও। তাঁকেও একইভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।