কাটোয়া: স্বামীর কোপে খুইয়েছেন হাত। শেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হয়েছে চাকরি। এর আগে গত ২১ জুন কেতুগ্রামের নির্যাতিতা রেণু খাতুন (Renu Khatun) জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরে গিয়ে স্টাফ নার্স গ্রেড ২ পদে যোগ দেন। তবে কোথায় গিয়ে তাঁকে কাজ করতে হবে তা তখনও ঠিক হয়নি। স্বাস্থ্য ভবন (Health Department) থেকে কোনও নির্দেশ না আশা পর্যন্ত তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরেই কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছিল। জানিয়েছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়। অবশেষে শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিলেন রেণু। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানে ১ নম্বর ব্লকের কুড়মুনে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পাকাপাকিভাবে কাজ শুরু করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পূর্বব র্ধমানের কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের মেয়ে রেণু খাতুনের সঙ্গে কোজলসার সরিফুল শেখের বিয়ে হয়। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পর তিনি সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে নার্সপদে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেই চাকরিতে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তার স্বামী সরিফুল শেখ। সরিফুলের ধারণা ছিল স্ত্রী রেণু সরকারি চাকরিতে গেলে হাতছাড়া হয়ে যাবে। অভিযোগ, যাতে চাকরি করতে না পারে সে জন্য রেণুর ডানহাতের কব্জি থেকে কেটে নেওয়া হয় গত ৪ জুন রাতে।
ওই ঘটনার পরের দিন ৫ জুন এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রেণুর বাবা আজিজুল হক। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দু’দিনের মধ্যেই সরিফুলকে গ্রেফতার করে। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আসরফ আলি শেখ ও হাবিবুর রহমানকে। তারপর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সরিফুলের মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদকে। চারজনেই এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তবে মেয়ের চাকরিতে শেষ পর্যন্ত খুশি রেণুর পরিবার।