কলকাতা: রাস্তা খারাপের অভিযোগে দুদিন আগেই পঞ্চায়েতের (Panchayet) উপপ্রধানকে কাঠগড়ায় তুলেছিল গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন কেতুগ্রামের (Ketugram) বিললেশ্বর গ্রামের উপপ্রধান সুবীর পালকে দেখামাত্রই তাড়া করেছিল প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা। তাঁকে দেখা মাত্রই তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। ভয়ে দোকানে আশ্রয় নেন উপপ্রধান। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এদিকে এ ঘটনায় এবার ৯ জন শিক্ষকের নামে জামিন অযোগ্যা ধারায় অভিযোগ দায়ের করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। যা নিয়েই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, অবরোধে সামিল হওয়ার জেরে আরও ৯ জনের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই তালিকায় আবার বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ একাধিক গ্রামবাসীর নাম রয়েছে। কেতুগ্রাম থানার তরফে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কেতুগ্রাম থানার সাব ইন্সপেক্টর মলয় দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা সহ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা নাম থাকা অভিযুক্ত শিক্ষকেরা বিল্বেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিল্বেশ্বর বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের দাবি, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিললেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “আমি শুনেছি শিক্ষকদের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে। সেদিনের পথ অবরোধকে ঘিরে যা ঘটনা ঘটেছে তা আমরা সমর্থন করিনা।” এ প্রসঙ্গে বিললেশ্বর হাইস্কুলের শিক্ষক নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। আমরা জামিনের আবেদন করার জন্য আদালতে এসেছি আজ। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ থাকায় মাস্টারমশাইদেরও যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল। পড়ুয়াদের অসুবিধা হচ্ছিল। তারপরেই পড়ুয়ারাই অবরোধ করে। এদিকে অবরোধের জেরে অনেক শিক্ষকই সেদিন স্কুলে উপস্থিত হতে পারেননি। অনেকে আবার স্কুলে কোনওভাবে এসে পৌঁছান। আমি নিজে স্কুলে ছিলাম। তারপরেও আমার নামে এফআইআর হয়েছে। পুলিশ এই মিথ্যা মামলা করেছে। আন্দোলনরা ছাত্ররা করেছে, তাঁদের অভিভাবকরা করেছেন। অথছ শিক্ষকদের জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই মনে হচ্ছে। শাসক দলকে সমর্থন করেনা এরকম লোকজনদের বেছেবেছে টার্গেট করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”