পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল বর্ধমানের আদালত চত্বরে পিস্তলকাণ্ড। শনিবার বর্ধমান আদালত চত্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ শেখ রজ্জাক নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে ধরা পড়ার পরও নির্বিকার থেকেছেন ওই যুবক। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আবারও উঠছে এই ঘটনায়। বিরোধী বলছে, আদালতচত্বরেও যদি এমন ঘটনা ঘটে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।
কয়েকদিন আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের একাংশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয় পুলিশ বোধহয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না। এমন দিন আসতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন করোনায় রাস্তায় নামেন, তেমন সমাজবিরোধী রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নেমে যেতে পারেন।”
বিরক্তি প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খুব কড়া ভাষায় পুলিশ কমিশনার ও রাজ্যের পুলিশকে বলেছেন কোথা থেকে এই অস্ত্র আসছে? আমি কি নিজে গিয়ে আর্মস খুঁজব?”
আদালতের মতো জায়গায়ও অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীর দাপাদাপি, ধরা পড়লেও বেপরোয়া ভাব। এই ঘটনায় বিরোধীদেরও তোপের মুখে পুলিশ প্রশাসন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মানুষ কোথাও কিছু না হলে আদালতের আশ্রয় নেয়। সেই আদালত চত্বরেও দুষ্কৃতীর দাপাদাপি? পুলিশ বলে বস্তুটা আসলে কিছু নেই।” এই ইস্যুতে বিজেপি বরাবরের মতোই দাবি করেছে, এ রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। রাজ্যের শাসকদলের মদতেই এসব ঘটছে বলে দাবি তাদের।