কলকাতা: বর্ধমানে বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ রাজ্য নেতৃত্বের। তিন সদস্যকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করল দল। ভোটের আবহে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বার্তাবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবারই বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয় নতুন নাম। সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে ভোটের আগে দায়িত্ব দেওয়া হয় অভিজিৎ তা-কে। এরপরই শনিবার তিনটি নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বলা হয় স্মৃতিকান্ত মণ্ডল, উত্তম চৌধুরী ও সাগ্নিক শিকদার নামে তিন জেলা নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। সেখানে স্পষ্ট লেখা হয়, গত ২১ জানুয়ারির ঘটনার জন্য তাঁদের ১২ মাসের জন্য সাসপেন্ড করছে দল। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দলের সদস্যপদও বাতিল হিসাবে ধরা হবে। কোনও কর্মসূচিতেও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: মমতার প্রার্থী তালিকায় কোন কোন তারকা, দেখে নিন গুঞ্জনে এগিয়ে কারা
গত ২১ জানুয়ারি বর্ধমানের ঘৌড়দৌড়চটি এলাকায় বিজেপির নবনির্মিত দলীয় কার্যালয়ে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, নব্য ও আদি বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দূরত্বই এই সংঘাতের কারণ। ঘটনার পরই সন্দীপ নন্দী-সহ ১৪ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়। দলও ভিতরে ভিতরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল। সব প্রমাণই স্মৃতিকান্ত মণ্ডল, উত্তম চৌধুরী ও সাগ্নিক শিকদারের বিরুদ্ধে যায় বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপি মনে করেছে, ভোটের মুখে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সমীচীন। তাতে দলে কেউ ঝামেলা করার চেষ্টা করলে তাঁদের কাছে যেমন কড়া বার্তা যাবে। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন এমন কোনও ঘটনা ঘটানো যাবে না যাতে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। জেলার এক বিজেপি নেতার কথায়, এটা সর্বভারতীয় দল। এখানে কোনওরকম ‘বেয়াদপি’ চলে না। দোষ প্রমাণিত হলে দল কখনওই তা মেনে নেবে না।