বর্ধমান: প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে ৪৫ টি তাজা বোমা, কয়েকটি ওয়ান শাটার বন্দুক ও গুলি। উদ্ধার হয়েছে বোমার মশলাও। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মঙ্গলকোটের বনপাড়া গ্রামে। তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান এবং বর্তমানে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলকোটের ঝিলু গ্রাম পঞ্চায়েতের বনপাড়া গ্রামের পরিচিত মুখ জিয়াবুর রহমান। ঝিলু ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মঙ্গলকোট থানার পুলিশ সোমবার ভোরে বনপাড়া গ্রামের মসজিদ পাড়ায় জিয়াবুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়।
জিয়াবুর রহমানের বাড়ির একটি ঘর থেকে একটি প্লাস্টিক জার উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পাশেই রাখা ছিল দুটি নাইলনের ব্যাগ। সেটি থেকে ৪৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। জারে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ওয়ান শাটার বন্দুক-সহ বোমার মশলাও উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে বাড়িতে এই বোমা-বিস্ফোরক মজুত রেখেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকাতেই খবর চাউর হয়েছিল জিয়াবুর রহমান এলাকায় বোমা-গুলি মজুত করা শুরু করেছেন। খোচর মারফত খবর যায় থানাতেও। সেই মোতাবেক তল্লাশি চালায় পুলিশ। এলাকাতে আরও বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আপাতত জিয়াবুরকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে মঙ্গলকোট পুলিশ। কী কারণে গ্রামে অস্ত্র-বোমা মজুত করছিল, গ্রামে অশান্তি ছড়ানোর কোনও ছক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এই ঘটনায় মঙ্গলকোটের তৃনমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “জিয়াবুর রহমান এখন দলের কেউ নন। আগে উপ প্রধান ছিল।” মঙ্গলকোট বিজেপি নেতা রানা প্রতাপ গোস্বামী বলেন, “এই ঘটনা প্রমাণ করে বোমা বারুদের স্তূপ বাংলা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতেই বোমা মজুত করা হয়েছিল।”