পূর্ব বর্ধমান: দল বিরোধী মন্তব্য করায় শোকজ পূর্ব বর্ধমানের মেমারী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে উর্ধ্বতন নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহম্মদ আসরফউদ্দিন(বাবু)। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। ফারুক আবদুল্লার করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার বিকালে চকদিঘি মোড়ে সভার আয়োজন করে। সেই সভায় মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল ছাড়াও ওই জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা-সহ বেশ কয়েকজন জেলাস্তরের নেতা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা থেকেই নাম না করে নিজের দলের এক কাউন্সিলর ও এক নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তবে,যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন, তাঁর নাম স্পষ্ট করেননি ফারুক। এর ফলে আরও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলাস্তরে।
এ দিন ওই সভা থেকে কাউন্সিলরকে ক্লাস টু পাশ বলে কটাক্ষ করেন ফারুক। তিনি বলেন, “সই করতে গেলে ক্লাস টু পাশ ওই কাউন্সিলর কলম ভেঙে ফেলেন।” এরপর তৃণমূল নেতার বিস্ফোরক উক্তি, “১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে তুমি কাউন্সিলর হয়েছো । তোমার নেতাও ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে।” দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ ও অনব্রতর জেলবন্দি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে ওই কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন ফারুক। তিনি বলেন, “আপনার কথা বলা সাজে না। বেশি কথা বলবেন না। নয় তো আপনার কথা আপনারই বুকের মধ্যে চেপে দেব ।”
প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে দল বিরোধী এইসব কথা যখন ফারুক বলছেন তখন প্রতিবাদ না করে উল্টে তাঁকে হাততালি দিয়ে সমর্থন করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডুর সাফাই, “এখন সবাই তৃণমূল। বিজেপি ও সিপিএম উঠে গিয়েছে। দল বড় হয়েছে। ভাইয়েদের মধ্যেও সমস্যা হয়। সুতরাং এতে ভাবনার কিছু নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। গ্যাপ থাকলে আগামী দিনে সব ঠিক হয়ে যাবে।”