AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parking Clash Erupts: ‘অফিসে ডেকে ধমকায়, ঠেলে ফেলে দেয়…’, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর

TMC Internal Row: অবশ্য প্রথমে সুজাতাই খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে দাবি অভিযুক্ত কাউন্সিলরের। তাঁর কথায়, 'আমি ওনাকে বুঝিয়েছিলাম। সামান্য দাগ পড়েছে এই নিয়ে বিবাদ তৈরি না করতে। আমি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনিই আমাকে অসভ্য বুড়ো লোক বলে কটাক্ষ করেন। আমারও মেজাজ চড়ে যায়।' অবশ্য এই তৃণমূল বনাম তৃণমূলের দ্বৈরথে পালে হাওয়া পেয়েছে বিজেপি।

Parking Clash Erupts: 'অফিসে ডেকে ধমকায়, ঠেলে ফেলে দেয়...', তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর
তৃণমূল বনাম তৃণমূলImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2025 | 7:14 AM
Share

পূর্ব বর্ধমান: পদের দৌরাত্ম্য নাকি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি মহিলা বলেই বাড়তি গা জোয়ারি? পূর্ব বর্ধমানের পার্কিং-বিবাদ তৃণমূলের অন্দরেই তৈরি করেছে এই প্রশ্ন। কাঠগড়ায় খোদ কাউন্সিলর। দলের মহিলা কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ওই তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য কাউন্সিলর বলছেন, ‘আমি না প্রথম খারাপ ব্যবহারটা ওই মহিলাই করেছেন।’

ঘটনা বর্ধমানের উৎসব ময়দানের। সেখানে আয়োজিত হয়েছে মেলা। ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। মেলা দূর করে বিভেদ, সেটা সামাজিক মিলনের জায়গা। কিন্তু সেই মেলাতেই ভেদাভেদ দূরীকরণের কাহন ভুলে ‘ভিআইপি’ বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সনৎ বক্সী, বলছেন একাংশ। রবিবার এই মেলায় গিয়েছিলেন তিনি। এই একইদিনে গিয়েছিলেন বৈকুন্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সুজাতা মণ্ডলও। বিবাদ লাগল রাতের দিকে।

মেলা থেকে বেরিয়ে লাগোয়া অস্থায়ী পার্কিং লট থেকে নিজের স্কুটি নিতে যান সুজাতা। কিন্তু গিয়ে দেখেন, তাঁর স্কুটিতে পড়ে গিয়েছে হাজার দাগ। কিছু মাধ্যমে বেশ ঘষা লেগেছে, বুঝতে পারেন সুজাতা। গিয়ে ধরেন অস্থায়ী পার্কিং লটের কর্মীদের। অভিযোগ, তখনই সুজাতাকে লক্ষ্য় করে গালিগালজ করতে শুরু করেন কাউন্সিলর। এমনকি, তাঁকে ঠেলেও ফেলে দেওয়া হয়।

এখানেই শেষ নয়। সুজাতার দাবি, মেলার বিবাদ পৌঁছে যায় দলের কার্যালয় পর্যন্ত। ওই রাতেই তাঁকে অফিসে ডেকে ধমকানো পর্যন্ত হয়। এদিন সুজাতা বলেন, ‘আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। বলছেন, ৩০ বছর ধরে দল করি। আমাকে ধমকিয়েছেন। ঠেলে ফেলে দিয়েছেন। আমি শুনেছি, উনি নাকি কাউন্সিলর। এ পদে বসে একজন মহিলার সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা যায়? এরপর আমি বিরক্ত হয়ে ওনার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলাম।’

অবশ্য প্রথমে সুজাতাই খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে দাবি অভিযুক্ত কাউন্সিলরের। তাঁর কথায়, ‘আমি ওনাকে বুঝিয়েছিলাম। সামান্য দাগ পড়েছে এই নিয়ে বিবাদ তৈরি না করতে। আমি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনিই আমাকে অসভ্য বুড়ো লোক বলে কটাক্ষ করেন। আমারও মেজাজ চড়ে যায়।’ অবশ্য এই তৃণমূল বনাম তৃণমূলের দ্বৈরথে পালে হাওয়া পেয়েছে বিজেপি। স্থানীয় নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে তাঁর দলীয় মহিলা নেত্রীরাই নিরাপদ নন। সাধারণ মহিলাদের সুরক্ষা দেবেন কী করে?’