বর্ধমান: কালীপুজোর (Kali puja) রাত্রিবেলা মহাশ্মশান এলাকায় ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকী মন্দির কমিটির দশ জন সদস্যকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনজন গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তির আকাশ সিং নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীর বিরুদ্ধে।
পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ঘটনা। সেখানেই কালীপুজোর (Kali puja) দিন রাত্রি দেড়টা নাগাদ নির্মলঝিল মহাশ্মশান এলাকায় ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালালো বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, তারা সকলেই নিজেদের স্থানীয় তৃনমূল নেতা ও কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছে। এই তাণ্ডবের জেরে নির্মলঝিল মহাশ্মশান এলাকায় উত্তেজনা দেখা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালী প্রতিমা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন এলাকায়। পুজো কমিটির অভিযোগ, হঠাৎই নিজেকে তৃণমূল নেতা পরিচয় দেওয়া আকাশ সিং মদ্যপ অবস্থায় সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে মহাশ্মশানে উপস্থিত হন। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দু-এক কথা হওয়ার পরেই হঠাৎ ভাঙচুর চালায় মহাশ্মশান চত্বরে। ভেঙে দেওয়া হয় প্রায় ৫০ টি চেয়ার-টেবিল। এমনকী কমিটির ১০ জন সদস্যকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে, গন্ডগোল হতেই আগত দর্শনার্থীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। হুলস্থুল কাণ্ড বেধে যায়। মুহূর্তে শান্ত এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
এর কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দুটো নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসারণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘আমি নিজের চোখে দেখিনি। সম্পূর্ণ বিষয়টি এলাকার মানুষদের কাছে শুনেছি। যদি ঘটনা ঘটে থাকে প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ অপরদিকে এই বিষয়ে অভিযুক্ত আকাশ সিং-এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।