বর্ধমান : আবার বিজেপিকে কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। সঙ্গে ‘গাঁজা কেস’ দেওয়ার হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। ঘটনায় জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম জয়দেব ঘোষ। ঘটনার জেরে বিজেপির পক্ষ থেকে আজ ছোড়া ফাড়ি ও আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আউশগ্রাম বিধানসভায় বিজেপির ৫২ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক জয়দেব ঘোষের বাড়ি রামনগর পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়। শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, রাধামাধব মণ্ডল, প্রদীপ ঘোষ (তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ), কালীপদ আঁকুড়ে, পরিধন কর্মকার – এই চার জন মিলে বেধড়ক মারধর করে জয়দীপ ঘোষ নামে ওই বিজেপি কর্মীকে। এমনকী প্রাণে মেরে গাছে টাঙিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জয়দেব ঘোষ নামে ওই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির পতাকা টাঙিয়েছিলেন এবং সেই কারণেই এই আক্রমণ বলে সন্দেহ তাঁর। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। শাসক শিবিরের তরফে পাল্টা বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, বিজেপিই বারবার এই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে গিয়েছে। এমন কাজ তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি নয়।
জয়দেব ঘোষ বলেন, “চারদিন আগে আমি বিজেপির ফ্ল্যাগ টাঙিয়েছিলাম। মায়ের শরীর খারাপ। ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় তৃণমূলের চারজন ফাকা রাস্তায় আমায় মেরে মাঠে ফেলে দেয়। খানিক দূরে নিয়ে গিয়ে বলে ট্রান্সফর্মারে টাঙিয়ে দেব। প্রাণে মেরে দেব। গাঁজা কেস দেব। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। বিজেপি করার জন্যই আমাকে মারধর করা হয়েছে।”
আউশগ্রাম ২ ব্লকের ব্লক সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, “আমার মনে হয় এই অভিযোগ মিথ্যা। এই সংস্কৃতি তৃণমূলের নয়। আমরা কোনওদিন মারধর করিনি। এর আগে কাটমানির অভিযোগ ওরা আমাদের কর্মীদের ঘরছাড়া করেছিল। আমরা প্রতিরোধ করিনি। আমাদের কর্মীরা ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করি এবং পঞ্চায়েতের উন্নয়নকে ফিরিয়ে নিয়ে আসি।”