আউশগ্রাম (পূর্ব বর্ধমান): রাজ্যে নির্বাচনের হিংসা নিয়ে বরাবর সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। তা সেই পঞ্চায়েত ভোট হোক কিংবা বিধানসভা ভোট। তবে এবার সন্ত্রাসের সেই যুক্তি পরোক্ষভাবে মেনে নিলেন তৃণমূল এক নেতা।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অরূপ মিদ্যা। পাশাপাশি এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার সহ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তথা আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের কাযকরী সভাপতি অরূপ মিদ্যা বলেন, “আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে, ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন আমরা করব না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে করব। সকল দলকে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেব। তবে জয় আমাদেরই হবে। কারণ মানুষ আমাদের পাশে আছে।”
বস্তুত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের একাধিক জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলের কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া হয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন, ধর্ষণের অভিযোগও ওঠে। গত বছরের ২১ অগস্ট ভোট পরবর্তী খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এরপর শুরু হয় তদন্ত। একে একে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রত্যেককেই ডেকে পাঠায় সিবিআই। ডাক পড়ে অরূপ মিদ্যারও। সোমবার, ৩০ মে দুর্গাপুরের এনআইটি গেস্ট হাউসে তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট কেপি শর্মার পাঠানো ওই নোটিস ই-মেল মারফত আসে অরূপ মিদ্যার কাছে।
আউশগ্রামের প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দা অরূপ মিদ্যা রাজনীতির আঙিনায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা যায়। সেই সময় আউশগ্রামের ওই তৃণমূল নেতা জানান, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের ফোন আসে। তখন ফোনে নেতার ই-মেল আইডি চাওয়া হয়। তারপর শনিবার বিকেলে ই-মেল মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে।