পূর্ব বর্ধমান: ব্রেক ধরতে না পেরে যাত্রীবাহী বাস গিয়ে সোজা ধাক্কা মারল গাছে (Road Accident)। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। সোমবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাতারের নতুনগ্রামের কাছে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ওই বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। তারাপীঠ থেকে কলকাতা ফিরছিল বাসটি। ভাতারের নতুন গ্রামের কাছে হঠাৎই বাসের চালক বুঝতে পারেন গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। ব্রেকও কাজ করছে না। এরপরই গাড়ির গতি কমাতে শুরু করেন চালক। তবে এলাকার একটি বটগাছে গিয়ে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের কনডাক্টরের বক্তব্য, বাসের গতি কমিয়ে বিপদ এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলেন চালক। তবে সামনে একটি বাস ও পাশে নয়ানজুলি থাকায় এবং রাস্তার ধারে একটি স্কুল ছাত্রকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি বট গাছে ধাক্কা মারে। আহত হন ৫ জন বাসযাত্রী।
আহতদের ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে আশঙ্কজনক দুই যাত্রীকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এলাকার লোকজনের দাবি, এই বাস যদি নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ত, তাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা লোহার বলেন, “বাসটা এসে গাছে ধাক্কা মারল। সঙ্গে সঙ্গে দেখি ৫-৬ জন হুড়মুড়িয়ে পড়ল। মাথা ফেটে গিয়েছে, বুকে লেগেছে।”
বাসের কনডাক্টর ভাস্কর মণ্ডলের কথায়, “কলকাতা থেকে তারাপীঠ গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই ফিরছিলাম। যাওয়ার পথে নতুনহাটের কাছে গাড়ির ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। গ্যারাজে কাজও করানো হয়। তারপর আবার গাড়ির হাওয়া বেরিয়ে যায়। গাড়ির গতি ২০-ও ছিল না। এভাবে গাড়িটাকে নিয়ে আসে এখানে। চেষ্টা করেছিলেন কোনও মাটির ঢিপির উপর দাঁড় করিয়ে দিতে। এদিকে বাঁদিক দিয়ে তখন একটা স্কুলের বাচ্চা সাইকেল নিয়ে আসছিল। ড্রাইভার কিন্তু বাস থেকেই চিৎকার করছিল বাচ্চাটাকে সরাতে। এরপরই ধাক্কা লাগে। গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে। না হলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত। গাড়িতে ৫০ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিলেন। আমি তো বলব চালকের জন্য আরও বড় বিপদ টলানো গিয়েছে। ওনার অভিজ্ঞতার জন্য। দেড় কিলোমিটার থেকে গাড়ি স্লো করে দেন।”