কাটোয়া: গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখতেই হু হু করে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন যুবক। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া (Katwa) শহরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আহত চারজন। অভিযোগ, নতুন গাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন প্রভাত রজক নামে এক যুবক। অভিযোগ, তিনি ও তাঁর বন্ধুরা নেশা করেছিলেন। গাড়ির গতি বেশি ছিল। এরপরই রবিবার বিকেলে কাটোয়া-কালনা রোডে ন্যাশনাল পাড়া মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ওই গাড়িটি চারজন পথচারীকে ধাক্কা মারে। একইসঙ্গে এলাকার দু’টি বিদ্যুতের পোলেও গিয়ে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে এক পথচারী এবং গাড়ির ভিতরে থাকা এক যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। গাড়ির ‘মালিক’ প্রভাত রজক গুরুতর আহত অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর পর পথচারী ও আহতের পরিবারের লোকেরা কাটোয়া হাসপাতালে গিয়ে প্রভাতকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কাটোয়ার বাসিন্দা প্রভাত রজক মাসখানেক আগে একটি চার চাকা গাড়ি কেনেন। রবিবার বিকেলে তিন বন্ধুকে নিয়ে গাড়ি করে ঘুরতে বেরোন। অভিযোগ,গাড়ির চালক মদ্যপ ছিলেন। তার উপর আবার গাড়ির গতি ছিল সপ্তমে। তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও প্রভাতের দাবি, এই গাড়ি তিনি কেনেননি। কথাবার্তা চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ফজলুর শেখ বলেন, “তিনজন ছিল গাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে একজন মারা যান। ছোট গাড়িটা বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রথমে ধাক্কা মারে। তারপর রাস্তার ওধারের খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। সে সময় সাইকেল চেপে আসছিল এখানকার একটা ছেলে। ও মারা গিয়েছে।”
প্রভাত রজকের বক্তব্য, “চার চাকা একজনের গ্যারাজ থেকে আমি এনেছিলাম। শনিবারই গাড়িটা আনি। আজ আমরা বেরিয়েছিলাম। পাপ্পু নামে আমার এক বন্ধু গাড়ি চালাতে চাইল। ওই চালাচ্ছিল। গাড়ি আমি এখনও কিনিনি।” তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।