Purba Bardhaman: মূক-বধির স্বামীর সামনেই কুপ্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় দুর্যোগের রাতে কাকিমাকে বেধড়ক মার ভাসুরপোর
Purba Bardhaman: সূত্রের খবর, বিয়ে হয়েছে ওই যুবকেরও। কিন্তু, কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকেই কাকিমাকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।
ভাতার: দীর্ঘদিন থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভাসুরপো। শেষ পর্যন্ত তাতে রাজি না হওয়ায় কাকিমাকে মারধর করার অভিযোগ উঠল ভাসুরপোর বিরুদ্ধে। থানার দ্বারস্থ নির্যাতিতা। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ভাতারের খেরুর গ্রামে। নির্যাতিতা গৃহবধূ দিনমজুরের কাজ করেন বলে খবর। তাঁর স্বামী মূক ও বধির। সেই সুযোগেই দীর্ঘদিন থেকে কাকিমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই যুবক। অভিযোগ এমনটাই।
সূত্রের খবর, বিয়ে হয়েছে ওই যুবকেরও। কিন্তু, কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে নির্যাতিতার বাড়ির পাশেই থাকে সে। বাড়ি ফাঁকা দেখলেই প্রায়শই কাকিমাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। সাম্প্রতিককালে বেড়ে গিয়েছিল সেই মাত্র। এমনকী ছেলের কর্মকাণ্ডের কথা তাঁর মা-বাবাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার বিকালে অন্যান্য জেলার মতো তুমুল ঝড়-বৃষ্টি হয় পূর্ব বর্ধমানে।
অভিযোগ, দুর্যোগের সময়েই ফের কাকিমার বাড়িতে আসে ওই যুবক। এসেই নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। ফের দেওয়া হয় কুপ্রস্তাব। রাজি না হওয়ায় লাঠি দিয়ে কাকিমাকে বেধড়ক মারতে থাকে ওই যুবক। ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে ছুটে আসে তাঁর স্বামী। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীর। ইতিমধ্যেই তাঁরা ভাতার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতা বলেন,
“অনেক দিন থেকেই তাঁকে ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কদিন আগেও রাতে এসেছিল। আমি তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। কাল রাতেও এসেছিল। খারাপ কথা বলতে থাকে। ওর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় খুব মারে। আমার স্বামীকেও মারতে থাকে। তারপর থেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারিনি।”