রায়না: রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের পুকুরে ঢুকে মাছ ধরার চেষ্টা করেছিল গ্রামেরই এক যুবক। কিন্তু, তাঁকে দেখা মাত্রই পাকড়াও করে ফেলেন মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ, এরপর ঘরে আটকে রেখে চলে অকথ্য নির্যাতন। রড লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। রাতেই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। হামলা চালানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের বাড়িতেও। গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো কালঘাম ছোটে পুলিশের। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়নার কামারহাটি গ্রামে।
গ্রামবাসী নান্টু সাঁতরা, জগত মুখার্জি প্রমুখরা জানাচ্ছেন, সোমরাত রাতে সবার অলক্ষ্যে প্রদীপ মজুমদারের পুকুরে চুরি করে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান এলাকার যুবক মহিন্দ্র হেমব্রম। কিন্তু, ধরা পড়ে যান। মন্ত্রীর বাড়ির কেয়ারটেকার তাঁকে দেখে ফেলেন। দেখা মাত্রই পাকড়াও করে শুরু হয় মারধর। ঘরে আটকে রেখে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে আরামবাগে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরই রাতেই মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে এলেকায় আসে পুলিশ। পুলিশের সামনে চলে বিক্ষোভ। যাঁরা মারধর করেছে তাঁদের শাস্তির দাবি। মঙ্গলবার সকালেও নতুন করে ছড়ায় উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে চায়নি বিক্ষুব্ধরা। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে থাকে। পুলিশের সামনেই মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এখনও থমথমে পরিস্থিতি কামারহাটি গ্রামে।