দিঘা: বর্ষার শুরুতে মেলেনি দেখা। তবে অপেক্ষায় ছিলেন মৎসজীবীর দল। অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি এনে মরসুমের প্রথম রুপোলি ফসল ইলিশ(Hilsa fish) উঠল দিঘায়(Digha)। তাতেই খুশির জোয়ার মৎস্যজীবীদের মধ্যে। প্রায় ১৪ টন ইলিশ উঠল দিঘার মোহনাতে। এদিকে জুলাইয়ের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে রূপ বদলাতে শুরু করেছে বর্ষা। ইলিশের অনুকূল পরিবেশ অর্থাৎ পূবালী হাওয়া সঙ্গে ইলসে গুড়ির বৃষ্টি দুটোই হচ্ছিল কদিন। তার তাতেই জেলেদের জালে ধরা দিতে শুরু করেছে ইলিশের দল। সার বেঁধে দেখা দিল দিঘার মোহনাতে।
এরপর ব্যাপকহারে ইলিশের দেখা মিলতে পারে দিঘা মোহনাতে, আশাবাদী মৎস্যজীবীরা এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বর্ষার মরসুম হলেও দেখা মিলছিল না ইলিশ মাছের। শেষে রূপোলি শস্যের দেখা মিলতেই খুশির জোয়ার দিঘার মৎস্যজীবীদের মধ্যে। তবে দামে-দরে সস্তা নয় এই ইলিশ। এমনটাই জানাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে মাছের সাইজ আশানুরূপ। মৎসজীবীরা জানাচ্ছেন প্রায় ৫০০ থেকে প্রায় ১২০০ দেড় কেজি পর্যন্ত ইলিশ উঠেছে মঙ্গলবার। তাতেই খুশির হাওয়া বইছে জেলে পাড়া। দীর্ঘদিন পর মাছ বেচে একটু লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন তারা। বর্ষার ইলিশেই যেন নতুন করে খুলেছে ভাগ্যের দরজা।
মঙ্গলবার দিঘার বাজারে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে বিকিয়েছে ইলিশ। অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৭৫০ গ্রাম পর্যন্ত ১২০০ টাকা দরে, এক কেজি থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ২০০০ টাকা দরে বিকিয়েছে ইলিশ। তবে মাছের চাহিদা থাকলেও জোগান ততটা পরিমাণে নেই বলেই জানা যাচ্ছে। আর ঠিক সে কারণেই আগামীতে দাম আরও চড়তে পারে বলেই মত মৎসজীবীদের। এদিকে দিঘার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারেও প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টন ইলিশ উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমান যে আবহাওয়া রয়েছে তা আগামী কয়েক দিন এমন আবহাওয়া থাকলে আরও ইলিশের দেখা মিলতে পারে বলে মত মৎসজীবীদের।