পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নায় বিজেপি কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনকে আরও জোরদার করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ময়নার থেকে ঘুরে ভৈরবপুর। ময়নায় বিজেপির মিছিলের দিনই রাতে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের শেখ ইসরাফিলের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর তেত্রিশের ওই যুবককে ধাক্কা মেরেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের সঙ্গে থাকা একটি গাড়ি। আর এই নিয়েই আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ির চালক সন্দেহে আনন্দকুমার পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই গাড়িচালককে এবার জামিন দিল তমলুক আদালত। পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন আনন্দকুমার পাণ্ডে।
ঘটনাটি ঘটেছিল বৃহস্পতিবার রাতে। সেদিন রাতে ১১৬বি দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল ইসরাফিল। অভিযোগ, সেই সময়েই সাইকেলে ধাক্কা মারে গাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাণে বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর তারপর থেকেই গোটা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য। মৃত যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন শাসক দল তৃণমূলের নেতারা। যদিও ওই দুর্ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর দিকে যে আক্রমণ শানাচ্ছে শাসক শিবির, সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, এমন কিছুই ঘটেনি।
তবে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের উপর বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা।
বৃহস্পতিবারের ওই দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়ির চালক আনন্দকুমার পাণ্ডকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর তাঁকে তমলুক আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাঁকে একদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একদিনের পুলিশি হেফাজত শেষে শনিবার ফের ওই গাড়িচালককে পেশ করা হয়েছিল আদালতে। এদিন বিচারক পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃত আনন্দকুমারের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, এই ব্যক্তি যে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সেটি ছিল কনভয়ের একেবারে শেষে ডানদিকে। সাদা রঙের বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছিল সেটি।